১ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৯:৪০

বীমা ব্যবসায় জড়াচ্ছে এনজিওগুলো

বীমা কোম্পানি না হয়েও বীমা ব্যবসায় জড়াচ্ছে দেশের ক্ষুদ্র ঋণদানকারী বেসরকারি সংস্থা এবং সমিতিগুলো (এনজিও)। ঋণ দেওয়ার সময় কল্যাণ তহবিল, ঝুঁকি তহবিল- নামে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে নিচ্ছে ঋণদাতা সংস্থাগুলো।

জানা গেছে, এনজিওগুলোর এ ধরনের বীমা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন। এরপর অর্থমন্ত্রী অবৈধভাবে পরিচালিত এসব বীমা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-কে। শুধু তাই নয়, ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের স্মারকলিপির বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আইডিআর-এর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিও এনজিওগুলোর এ ধরনের বীমা কার্যক্রম পরিচালনা না করার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। তবে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী এনজিওগুলোর দাবি, বিধিমালা মেনেই তারা গ্রাহকদের বীমা সুবিধা দিচ্ছেন। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি অ্যাক্ট, ২০০৬ এর ২৪ ধারা এবং বিধিমালা, ২০১০ এর ২৫ নম্বর বিধিতে উল্লেখ আছে, ‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহকদের বীমা সুবিধা দিতে পারবে। ’

জানা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণগ্রহীতার সুরক্ষায় এ ধরনের কল্যাণ তহবিল বা ঝুঁকি তহবিল করছে-এমনটি প্রচার করলেও প্রকৃত অর্থে এটি আসলে এনজিও বা সমিতিগুলোর স্বার্থই দেখা হয়। কারণ গ্রাহকদের এই তহবিলের অর্থ জমা থাকে এনজিওগুলোর কাছে। ওই সময় এর সুফল ভোগ করে প্রতিষ্ঠানগুলো এবং গ্রাহকের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা বা টাকা দিয়েই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

তবে এনজিও কর্তৃক এ ধরনের বীমা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বীমা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। আইনের এই জটিলতা নিরসনে সম্প্রতি সভাও করেছে আইডিআরএ। সভায় মাউক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জি বলেন, ঋণগ্রহীতার কল্যাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হলেও বীমা করার কোনো সুযোগ এনজিওগুলোর নেই। কল্যাণ তহবিলের আবরণে যেন বীমা কার্যক্রম না করা হয় সে বিষয়ে এমআরএর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 

http://www.bd-pratidin.com/last-page/2017/12/01/285229