২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:৪৬

আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক

বছরে চার দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে

জানতে চায় ব্যাংকের মনিটরিং

বছরে চার দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী তিন বছর এভাবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে। এ সময়ে মোট ১২ দফায় বিদ্যুতের দাম নিয়ে আসা হবে উৎপাদন খরচের সমান বা কাছাকাছি। ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলকে এসব কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে। এর আগে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। সেখানে ব্যাংকের মনিটরিং সম্পর্কে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। তিন মাস ধরে এ পদ্ধতির চর্চা করা হচ্ছে।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় অন্য অনেক শর্তের সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করার কথা বলেছিল।
এদিকে ব্যাংক খাতের অফসাইট সুপারভিশন (মনিটরিং) সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশেষ করে নগদ ও তারল্যের ন্যূনতম সীমা ধরে রাখতে না পারায় অনেক ব্যাংককে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার অনেক ব্যাংককে বিশেষভাবে ধার দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আমানত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হয়। একে বলা হয় ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর)। এছাড়া গ্রাহকদের আমানতের ন্যূনতম শতাংশ নগদ, স্বর্ণ বা অন্যান্য সিকিউরিটিজ আকারে রাখতে হয়। একে সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (এসএলআর) বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ন্যূনতম সিআরআর প্রয়োজন নগদের ৪ শতাংশ এবং এসএলআর প্রয়োজন আমানতের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সিআরআর ও এসএলআর বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের ঘাটতির পরিমাণের ওপর যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।

https://www.jugantor.com/todays-paper/second-edition/801086