৯ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:০৩

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও চালকদের নিয়ম না মেনে অভারটেকিংয়ের ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে এ যানজট। কিছু সময় ধীর গতিতে গাড়ি চললেও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আটকা পড়েছে হাজার হাজার গাড়ি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলী থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে একটি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সেটি উদ্ধারে ৫ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।

গতকাল সোমবার সেতুর উপর বাস বিকল ও সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত যত গভীর হয়েছে যানজটের আকার তত বেড়েছে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে গাড়ি টানতে না পারায় সেতুর উপর পরিবহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।
হানিফ পরিবহনের চালক সুমন মিয়া সমকালকে বলেন, ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার বগুড়া গিয়েছি। কিন্তু কোনো যানজটের মুখে পড়তে হয়নি। তবে আজ ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এসে এলেঙ্গার পুংলীতে যানজটে পড়েছি। কতক্ষণ বসে থাকতে হবে জানি না।
সিরাজগঞ্জের এস আই পরিবহনের যাত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ঢাকা থেকে স্বামী সন্তানদের নিয়ে ভোরে রওনা দিয়েছি সিরাজগঞ্জ যাবো। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের আশেকপুর পুংলী আসার পর গাড়ির ধীর গতি ছিল। পুংলীতেই বসে আছি প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে। আরও কতক্ষণ থাকতে হবে কে জানে।

ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (উত্তর) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। এছাড়া সেতুর উপর একটি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫ মিনিট বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন্য পরিবহনগুলোতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট থাকবে না।

https://samakal.com/whole-country/article/231852