৬ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১০:৫১

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে সব ধরনের গোশতের দাম

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় ঢাকার বাজারে বেড়েছে গরুর গোশতসহ সব ধরনের মুরগির দাম। রোজা শুরুর আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরুর গোশত ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও রমজান মাস উপলক্ষে দাম বেড়ে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি শুরু হয়। এই ঊর্ধ্বমুখী দাম ঈদকে সামনে রেখে ৮০০ টাকা কেজিতে ঠেকেছে। এ ছাড়া খাসির গোশতও প্রতি কেজি ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে। যা রোজার শুরুতে ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কক মুরগি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং দেশী মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। রমজানের প্রথম থেকে প্রতি কেজি গরুর গোশত ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগ মুহূর্তে এসে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা গবাদিপশুর উচ্চমূল্য এবং তাদের পরিবহনের উচ্চ খরচকে দায়ী করেছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজা ঘিরে কয়েক দিন আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এখন সেটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বাজারে লেগেছে ঈদের হাওয়া। যে যার খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে দশ টাকা পাঁচ টাকা বাড়তে বাড়তে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন প্রতি কেজি ২৪০ টাকা। যা কয়েক দিন আগেও ১৮০-১৯০ টাকা ছিল। গরুর গোশত ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, যা আজকে এসে দেখি ৮০০ টাকা।

রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশী পুরনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুর মুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রোকলি ৩০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলার হালি বিক্রি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১২৫ টাকা। হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা ডজন, দেশী মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৯০০ টাকা, চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকায়, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার টাকা, বাইম ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, দেশী কই ৭০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইকলা বা কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/826869