২৯ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:৫৫

কলারোয়া ও সংলগ্ন সীমান্ত পথে গভীর রাতে শতশত মণ ইলিশ মাছ পাচার

গভীর রাতে কলারোয়া ও সংলগ্ন সীমান্ত পথে শতশত মণ ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুষ্প্রাপ্যতা আর মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইলিশ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। পদ্মা, মেঘনাসহ সাগর সন্নিহিত নদীগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে না। তবে সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। কিন্তু উপকূলীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশ ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ করে কলকাতা শহরের ধনাঢ্য ও বনেদী পরিবারের কাছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশের বিশেষ সমাদর রয়েছে। বছরে একবার হলেও তারা মৌসুম এলে পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে অনেকটা উৎসব করে ইলিশ খায়। পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগজ্ঞে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর ভারতে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার ইলিশের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কলারোয়া ও সংলগ্ন এলাকায় ২’শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৬’শ টাকা; ৩’শ/৪’শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৮’শ টাকা; ৫/৬’শ ইলিশের কেজি হাজার টাকা; ৮/৯’শ ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২’শ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৪’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে মাঠঘাটে কাজ নেই। ফলে কর্মসংস্থানের অভাবে এলাকায় আর্থিক সংকট প্রকট। ফলে এই দামে ইলিশ কিনে খাওয়ার ক্ষমতা নেই সাধারণ মানুষের। বিপুল মুনাফার লোভে কলারোয়া সংলগ্ন শার্শা উপজেলার বাগআচড়া বাজারে পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ আনা হচ্ছে। গভীর রাতে মিনি পিকআপ যোগে সেই ইলিশ সীমান্তে নিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছে বলে সূত্র জানায়। সূত্র মতে, সময় সুযোগ মত কলারায়ার চান্দুড়িয়া, গোয়ালপাড়া, হিজলদী, বড়ালী, দক্ষিণ ভাদিয়ালী, সাতক্ষীরা সদরের তলুইগাছা, কুশখালী, শার্শার রুদ্রপুর, দাদখালী, গোগা সীমান্ত পথে গভীর রাতে পিকআফ ভর্তি ইলিশ মাছ সীমান্তে নিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বাড়লেও ইলিশ চোখে দেখে অতৃপ্ত রসনা নিয়ে বাড়ি ফেরা ছাড়া উপায় নেই।

https://www.dailysangram.info/post/534003