২৮ আগস্ট ২০২৩, সোমবার, ৬:০৮

ডেঙ্গুতে ২৭ দিনে প্রাণহানি ৩০০ ছুঁই ছুঁই

দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল তত দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই প্রাণহানির তালিকায় নতুন নতুন নাম যোগ হওয়ায় স্বজনদের আহাজারি বাড়ছে। ঢাকার বাইরেই এখন ডেঙ্গু রোগীর দাপট বেশি। চলতি আগস্টে মৃত্যু ২৯৭ জন। একদিনে আরও ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪৮ জনে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৩২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৫১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৫৪ হাজার ৪০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬০ হাজার ১০২ জন। মৃত ৫৪৮ জনের মধ্যে নারী ৩১৮ জন এবং পুরুষ ২৩০ জন।

মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ১৪৪ জন এবং রাজধানীতে ৪০৪ জন।
ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে গতকাল বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৩২৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯২০ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৪০৭ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৩২৭ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৯৯ জনে।

ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৯৪৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ৩৫৪ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৫১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৭১ হাজার ৩১৪ জন এবং নারী ৪৩ হাজার ১৯৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।

জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ২৭ দিনে ৬২ হাজার ৬৭৯ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ২৯৭ জনের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

https://mzamin.com/news.php?news=71270