১৪ আগস্ট ২০২৩, সোমবার, ৫:৫২

মনস্বী অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান

-ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

ইসলামী অর্থনীতিবিদ, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত ৬ আগস্ট দেশে-বিদেশে অগণিত ছাত্র, অনুসারী-অনুধ্যায়ী রেখে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মেধাবী, স্বল্পবাক ও প্রচারবিমুখ অধ্যাপক রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ৩৭ বছর দায়িত্ব পালনের পর নানাভাবে গবেষণা ষান্মাসিক শিক্ষকতা, সমাজসেবামূলক কাজে আজীবন ব্যাপৃত ছিলেন।

শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান দেশ-বিদেশে একজন প্রাজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকপদ্ধতি প্রক্রিয়ার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট, ইসলামিক ইকোনমিকস রিসার্চ ব্যুরোর সাথে ছিলেন ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রে শাহ আব্দুল হান্নানের কাছের মানুষ ছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও এর প্রক্রিয়া প্রকরণ নিয়ে তার সাথে আলোচনা হতো দীর্ঘসময়, শেষের দিকে মোবাইল ফোনে। শেষ বয়সে তিনি রাজশাহী থেকে কোথাও যেতেন না। সেই যে বাগেরহাটের পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে রাজশাহীর মতিহার আমবাগানে ঢোকেন, সেখান থেকে তাকে আর বের করা যায়নি এমএ পাসের পর বছরদুয়েক পিসি কলেজে অধ্যাপনার সময় ছাড়া। নিজের গাঁওগেরাম পাইকগাছায় (বর্তমানে কয়রা উপজেলার আমাদি জায়গিরমহল) তার পা পড়েছিল কম। পড়–য়া, গবেষক ও লেখক শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ছিলেন অনেকের অনুপ্রেরণার উৎস।
বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতির একজন প্রবক্তা হিসেবে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সংশ্লিষ্টতা সূত্রে তাকে একটি বিশেষ পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক অনেকে মনে করলেও ছিলেন একজন মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব এবং ন্যায়-নীতিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, সুস্থ ও স্বচ্ছ অর্থনীতি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার সপক্ষের মানুষ, চিন্তক ও লেখক। ইসলামী অর্থনীতি, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখিতে তাকে কখনো সীমিত অবয়বে, পক্ষপাতমূলক আদর্শিক অবস্থানে দেখা যায়নি। ছিলেন উদার উন্মুুক্ত ভাবাদর্শের মনস্বী অধ্যাপক।

২০০১ সালে ‘আমরা কি পড়তে চাই, কি পড়ছি, কি পড়াচ্ছি’, কিংবা ২০০৩ সালে তার রচিত ‘নৈতিক অবক্ষয়রোধে ইসলামী শিক্ষার ভূমিকা’ শীর্ষক লেখাগুলোতে শিক্ষাভাবনার যে পরিচয় আমরা পাই, পরবর্তীকালে তার কলম আরো গঠনমূলক যুক্তি পরামর্শে ভাস্বর হয়ে ওঠে। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, নব্বইয়ের দশকে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা’ কিংবা ইসলামিক ইকোনমিকস রিসার্চ ব্যুরো আয়োজিত জাকাত এবং দারিদ্র্য বিমোচন সেমিনার (ঢাকা ১৪-১৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৮) তার পঠিত ‘রোল অব জাকাত ইন পোভার্র্টি এলিভিয়েশন’ প্রবন্ধদ্বয়ে বিধৃত তত্ত্ব-ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের আলোকে বাংলাদেশে জাকাত ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্যোগ ও সংহতি সংস্থাপনের সূত্রপাত ঘটে।

১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে পৃথক দু’টি সেমিনারে তিনি ‘ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রয়োগ এবং বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে এর ভূমিকা’ এবং ‘ইসলামী অর্থনীতির মূলনীতি ও বাংলাদেশে এর প্রয়োগ সম্ভাব্যতা’ শীর্ষক দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করলে চিন্তাশীল মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তারও আগে আশির দশকে ‘ইসলামি অর্থনীতিতে আয় ও সম্পদ বণ্টন’ বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করে নতুন ভাবনার উদ্রেক ঘটান তিনি। এমনকি ‘উত্তর পশ্চিম বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা উন্নয়নে আঞ্চলিক বৈষম্য : একটি অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ’ প্রবন্ধটির মাধ্যমে শিক্ষায় আঞ্চলিক বৈষম্য বিষয়েও ক্ষৈত্রিক পর্যায়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যে কৌতূহলোদ্দীপক প্রসঙ্গের অবতারণা করেছিলেন আজো তা তার একক চিন্তার উদাহরণ হিসেবে দীপ্যমান রয়েছে।

এবার কিছুটা ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মরহুম শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মতিহার চত্বরের পশ্চিম এলাকায় ডব্লিউ ৩২ বাংলোটি বরাদ্দ পেয়ে বেশ কয়েক বছর থেকেছেন। সেখানে আগে থাকতেন আমাদের অনেকের শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আ ন সামসুল হক। ওই বাংলোতে আমি গেছি। সেই বাসায় বনেদি জাতের বয়স্ক আমগাছের ফল তিনি ঢাকায় আমাদের ও ড. হকের মেয়ের বাসায় পাঠাতেন। সামসুল হকের ওপর সম্পাদিত স্মারক গ্রন্থে হাবিবুর রহমান স্মৃতিঘন একটি নিবন্ধ রচনা করেছিলেন। এই রচনার মধ্যে তার মহৎ ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রাথমিক দিক থেকে আজীবন সদস্য ছিলেন। সেই সূত্রে তার মেয়ে অধ্যাপক ফেরদৌসী এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য পদ পেয়েছিলেন। তার বড় ছেলে ড. শাহ মুহাম্মদ নাজমুস সাআদাত শাব্বীর এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতাকালে এশিয়াটিক সোসাইটির প্রযুক্তি প্রয়োগ ও গবেষণা বিভাগে বিশেষ কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন। এই মেধাবী তরুণ অল্প বয়সে ইন্তেকাল করেন।

হাবিব ভাইয়ের কথা বড্ড মনে পড়ে, এখনো কানে বাজে -এটা সেটা নিয়ে তার সাথে আলাপ হচ্ছে; বিশেষ করে আমি যখন সরকারের ঊর্ধ্বতন পদে চাকরিরত ছিলাম। অবসরের পর যখন বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা সংগঠনে যুক্ত হয়েছিলেন, তাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। যেমন দেখেছি শাহ আব্দুল হান্নানের মধ্যে। সেবার শাহ হান্নানের তিরোধানে সবাই যেমনভাবে শোকাভিভূত হয়েছিলেন- হাবিব ভাইয়ের মৃত্যুতে তেমন শূন্যতা বোধ করছেন তার ভক্ত অনুরাগী অনুসারী ছাত্র বা শুভানুধ্যায়ীরা।

শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৪৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খুলনার জায়গিরমহলে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শাহ মুহাম্মদ ছাইয়েদ আলী। মাত্র চার বছর বয়সে মা জিন্নাতুননেসাকে হারালেও অদম্য ইচ্ছা আর বাবার সহযোগিতায় পড়ালেখা চলতে থাকে তার। বাগেরহাট টাউন হাইস্কুল থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৬৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ বাগেরহাট পিসি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে চতুর্থ স্থান অধিকার করে এইচএসসি পাস করেন। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স (১৯৬৬) ও এমএ (১৯৬৭) ডিগ্রি নেয়ার পর বাগেরহাট পিসি কলেজে শিক্ষকতা জীবন শুরু। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতায় যোগ দেন ১৯৭০ সালে। ২৭ বছর পর ১৯৯৭-এ প্রফেসর পদে উন্নীত হন। কর্মজীবনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে সিনেট, সিন্ডিকেট, ফাইন্যান্স কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, প্রেস প্রকাশনা ও জনসংযোগ দফতর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও ফাইন্যান্স কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।

ছাত্রজীবনে বক্তৃতা-বিতর্কের পাশাপাশি জাতীয় ইংরেজি ও বাংলা দৈনিক এবং মাসিক পত্রপত্রিকায় তার লেখালেখি শুরু। ইসলামী জীবনাদর্শ বাস্তবায়নে তার লেখনী নিবেদিত। প্রকাশিত মৌলিক ও অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২। তার লেখা বই : ছোটদের ইসলামী অর্থনীতি (১৯৮০); ইসলামী ব্যাংকিং কি ও কেন? (দ্বিতীয় সংস্করণ-১৯৮৪); ইসলামী ব্যাংক : কতিপয় ভ্রান্তি মোচন (১৯৮৬); বিবর্তনতত্ত্ব : ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন (অনুবাদ-২০০০); ইসলামী অর্থনীতি : একটি প্রাথমিক বিশ্লেষণ (অনুবাদ, দ্বিতীয় সংস্করণ-২০০২), অর্থনীতি, পুুঁজিবাদ ও ইসলাম-২০০৩, অর্থনীতিতে রাসূল সা:-এর ১০ দফা-২০০৩ ইসলামী ব্যাংক : পেছনে ফিরে দেখা (২০০৪), ইসলামের অর্থনৈতিক বিপ্লব (তৃতীয় সংস্করণ-২০০৪), ইসলামী অর্থনীতি নির্বাচিত প্রবন্ধ (পঞ্চম সংস্করণ-২০০৫), সুদ-২০০৮, ইসলামী ব্যাংকিং : বৈশিষ্ট্য ও কর্মপদ্ধতি (২০০৯), ইন্টারেস্ট (২০১২) শীর্ষক গ্রন্থগুলো ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) থেকে প্রকাশিত এম উমর চাপরার কালজয়ী রচনা ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ গ্রন্থের অনুবাদ-সম্পাদনার কৃতিত্ব তার। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণাপ্রবন্ধের সংখ্যা ৪০-এর অধিক।

বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, ইসলামিক ইকোনমিক রিসার্চ ব্যুরো ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থটসহ (বিআইআইটি) বেশ কয়েকটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাজীবী সংগঠনের আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেম চালুর ক্ষেত্রে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রফেসর শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘকাল এর শরিয়াহ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন তিনি। সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণে পাকিস্তান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া সফর করেছেন।
শুধু পড়ালেখাতে নয়, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তার সরব পদচারণা। বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়ে ১৯৬৬ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত অল পাকিস্তান ইন্টারইউনিভারসিটি ডিবেট কমপিটিশনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করে রানারআপ হন। শাহ মুখদুম হলের বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পরপর দু’বছর রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। কলেজ জীবনেও সাহিত্যাঙ্গন থেকে চ্যাম্পিয়নট্রফি জিতে নেন।

জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে একাধারে অর্থনীতিবিদ, প্রশাসক, সংগঠক, বিদ্যানুরাগী, ইসলামী চিন্তাবিদ, সংস্কৃতিচর্চার পথপ্রদর্শক, সমাজ সংস্কারক রূপে নানা ধরনের বহুমুখী দায়িত্ব পালন করেন। তার সাংগঠনিক যোগ্যতার হাতেখড়ি হয় তৎকালীন ইউটিসির (বর্তমানে বিএসসিসি নামে পরিচিত) ক্যাডেট হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। পরবর্তীকালে বিভাগের চেয়ারম্যান এবং দু’বার প্রেস পাবলিকেশন ও জনসংযোগ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন আবাসিক হলের হাউজ টিউটরসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিশু-কিশোরদের জাতীয় সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের রাজশাহী জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির (রাজশাহী) কার্যনির্বাহী কমিটি এবং রাজশাহী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উত্তরবঙ্গের শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতি চর্চা বেগবান করেন। রাজশাহী সাংস্কৃতিক জোটেরও কনভেনার ছিলেন। শুধু শিল্প-সাহিত্য নয়, শিক্ষা সম্প্রসারণেও তার ভূমিকা অনস্বীকার্য এবং আমৃত্যু সুচারুভাবে সে দায়িত্ব পালন করে গেছেনে। রাজশাহী শহরের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। নাচোল ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট, বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন, যশোর-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও ভিজিলেন্স কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তার সহধর্মিণী অধ্যাপক কামরুননেসা বেগম ২০১৫ সালে পরলোকগমন করেন। পারিবারিক জীবনে দুই পুত্র ও দুই কন্যা সবাই সুশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে ড. মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে প্রফেসর। ছোট মেয়ে ড. ফারজানা কাওকাব বিনতে হাবিব স্বামী ড. জিহাদনুসাইরাতের সাথে মালয়েশিয়ার টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিসট্রেশন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। ছোট ছেলে শাহ মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব জার্মানির মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা করে স্ত্রী ডা: শার্লিন মাহমুদসহ সেখানে একটি বহুজাতিক সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। বর্ণাঢ্য জীবনালেখ্যের অধিকারী প্রফেসর শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শেষ বয়সে বড় মেয়ের সাথে রাজশাহী শহরে অবসর জীবন কাটিয়েছেন।
লেখক : সরকারের সাবেক সচিব
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

https://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/769640