২৫ জুন ২০২৩, রবিবার, ৯:১৪

বেড়েছে মাছ ও সবজির দাম

বাজারে অস্থিরতা কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না বরং যতই দিন যাচ্ছে ততই সার্বিক পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে। সে ধরাবাহিকতায় গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। মাছের দাম তো আগে থেকেই চড়া। ফলে ক্রেতারা বাজারে এসে পড়ছেন অস্বস্তিতে। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গত তিন-চারদিনে সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। এর আগে দাম কিছুটা কম যাচ্ছিলো। পাইকারি বাজারেই সবকিছুর দাম বেশি, যারা প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তাদের এই দাবিকে গদবাঁধা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশি আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোস্ত। বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোস্ত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, পাঙাশ মাছ সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দাম বাড়তি বিষয়ে বিক্রেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রতিটি আড়ত, পাইকারি বাজারেই মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। ফলে তাদেরকে বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সবজির খুচরা বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত ৩/৪ দিন ধরে সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এর মূল কারণ হলো অনেক সবজির মৌসুম শেষ, নতুন করে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে। এছাড়া দূরদূরান্ত থেকে এখন সবজির ট্রাক কম আসছে, সব ট্রাক, পিকআপে এখন কুরবানির গরু আনা নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। তাই সবজির বাজার এটা ঈদের পর পর্যন্ত এমন বাড়তি থাকতে পারে।

সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লেও প্রতিনিয়তই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ মাছ, গোস্ত ও সবজির দাম অতীতের সকল সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে সাধারণ মানুষে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছেন। এমতাবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনা গেলে জনদুর্ভোগ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে ওঠবে। সার্বিক পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। যা কারো কাম্য নয়!

https://dailysangram.info/post/528347