২৪ জুন ২০২৩, শনিবার, ৮:৪৩

বাজারে অস্থিরতা বাড়ছেই

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছেই। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। আগের চেয়ে আরও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। মাছের দামও বেড়েছে বেশ। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দামে। তবে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ বলতে পারছে না কোনও বিক্রেতাই। তারা বেশি দামে কিনেছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গেছে, বাজারে কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। আজ সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজিতে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১২০-১৪০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, দেশী আলু (লাল) প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশী পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা, আদা ৩২০-৩৩০, দেশী রসুন ১৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৭০-১৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের গোশত। বাজারে প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির গোশত ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা এবং লাল লেয়ার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

এছাড়া বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজার দেখা গেছে, পাঙাশ মাছ সাইজ ভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট গুড়া মাছ (কাচকি) প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মুদি দোকান থেকে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। যদিও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৮৫০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ টাকা।

মামুন নামে এক মুদি দোকানদার জানান, গত সপ্তাহে জিরা কিনেছিলেন ৮৩০ টাকায়, বিক্রি করেছেন ৮৫০ টাকায়। এখন কেনা ৯০০ টাকা আর বিক্রি করছেন ৯২০ টাকায়। ঈদের আগে আর দাম কমবে না। কমলে একেবারে ঈদের পরে কমবে। এখন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে রেখেছে বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।

https://dailysangram.info/post/528288