২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৯

নির্বাচনে বাধা দিলে মার্কিন ভিসা বন্ধ

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অবৈধ কাজে সহযোগীদের ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা অধ্যাদেশের সেকশন ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) এর আওতায় বাংলাদেশের জন্য নতুন এই ভিসানীতি ঘোষণা করা হলো। গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণায় বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে সহিংসতার আশ্রয় নেয়া এবং ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার দায়িত্ব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেয়াকে সহায়তা করতে এই নীতি ঘোষণা করা হলো।

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের এই ঘোষণা পড়ে শুনানো হয়। এক টুইট বার্তায়ও ব্লিংকেন এ ঘোষণা দেন। ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মাথিও মিলার জানান, বাংলাদেশের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে না। তবে এই নীতির মাধ্যমে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করা যাবে। নতুন নীতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বার্তা দেয়া হলো যে, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এ ব্যাপারে নজর রাখছি। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বা প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক বা সমালোচনা করা হলো কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, না। নতুন নীতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই বার্তা দেয়া হলো, আমরা বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করি। এই প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করলে আমরা কোনো ব্যক্তিকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করতে পারি। এটা সামরিক বাহিনী, বিচার বিভাগসহ সবার জন্যই প্রযোজ্য একটি বার্তা।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/750510