১৬ মে ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:৫৯

তাপ কমাতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় মোখা

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে বিরাজমান উচ্চ তাপমাত্রা কমাতে পারেনি। সাধারণত একটি ঘূর্ণিঝড় হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। তবে আবহাওয়া দফতর বলেছে, আজ দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপও কিছুটা কমে যাবে।

মোখার আঘাতে কক্সবাজার জেলা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও ১৪ মে সারা দিন কক্সবাজারে মাত্র ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার বান্দরবানে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং এটাই ছিল গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

আবহাওয়াবিদরা মোখা সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত এর সবগুলোই বাস্তবে মিলেনি। মোখার আঘাত হানার গতিও কম ছিল। এর একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, আঘাত হানার আগে সকালে বঙ্গোপসাগরে ভাটার টান ছিল। সে কারণে মোখার গতি কমেছে। অন্য দিকে যে গতিতে মোখা উপকূলে আঘাত হানার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম গতি নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে মোখা। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমেছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা চলে গেলেও ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে এক ফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। বিপরীতে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলাতে মৃদু তাপপ্রবাহ থাকছে। এর বাইরে রাজশাহী জেলার অঞ্চলগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আজ মঙ্গলবারের শেষ দিকে হয়তো এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব এখন আর কক্সবাজারের কোথাও নেই। গতকাল সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারে মোখা দুর্বল হয়ে গভীর নি¤œচাপ অবস্থায় ছিল। তবে এটা আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে লঘুচাপে পরিণত হবে এবং এক সময় দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল রাজশাহী ও মংলায় ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া (কুমারখালী) ছাড়া অন্যান্য এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।

রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা মৃদু তাপপ্রবাহেরও কম থাকলেও এখানে নানা কারণে তাপমাত্রা অনুভূতি বেশি ছিল।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/748284