১৩ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৩:২৬

স্বাস্থ্যখাতের স্বাস্থ্যহীনতা

ইবনে নূরুল হুদা : শুধু স্বাস্থ্যখাতে নয় বরং দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা রাষ্ট্রাচারের প্রায় ক্ষেত্রেই অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। আমাদের দেশ ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু যাদের কারণে আমাদের এই বেহাল দশার সৃষ্টি হয়, তারা কিন্তু সবসময়ই থেকেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্নীতি যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। সাবেক অর্থমন্ত্রীর ‘স্পিডমানি’ আর সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর ‘সহনীয় মাত্রা’ তার বাস্তব প্রমাণ। ফলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতির ঢালপালা বৃদ্ধির অভিযোগটাও বেশ জোরালো ভিত্তি পেয়েছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো-দুর্নীতিসহ সকল প্রকার অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুশাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোন সাফল্য নেই বরং সর্বাত্মক ব্যর্থতা আমাদের জাতিস্বত্ত্বাকেই অক্টোপাশের মত চেপে ধরেছে।

বস্তুত, লাগামহীন দুর্নীতি পুরো স্বাস্থ্যখাতকেই বিপর্যস্ত করে তুলেছে। রাষ্ট্রের এই অতিগুরুত্বপূর্ণ খাতে নিয়ন্ত্রণহীন অনিয়মের কারণেই নাগরিকরা কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বরাবরই। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সে কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, ওষুধ সরবরাহসহ ১১টি খাতে দুর্নীতি এখন প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও বিভীষণদের কারণেই তার সেই ঘোষণা বাস্তবরূপ লাভ করেনি।

এমনকি করোনার টিকা নিয়েও রয়েছে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। গত বছরের ৮ জুন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলা: কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণায় স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যেসব দুর্নীতি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সংক্রমণের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজন ও পরিকল্পনা অনুযায়ী আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণে ব্যর্থতা, বাজেট ও যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সব জেলায় ১০টি করে আইসিইউ শয্যা প্রস্তুতের পরিকল্পনা অবাস্তবায়িত থাকা, অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে ফেলে রাখা এবং টিকা কার্যক্রমে মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতা। প্রতিবেদনে ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও কেনার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা, সমন্বয়হীনতা ও চুক্তিতে স্বচ্ছতার ঘাটতি ছিল বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি। যা স্বাস্থ্যখাতের স্বাস্থ্যহীনতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

জানা যায়, করোনার প্রাথমিক পর্যায়েই জাতীয় কমিটি ও বিএমআরসি একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ সাড়া না দেওয়ায় ট্রায়াল প্রচেষ্টা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণেই বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। ফলে টিকাকার্যক্রম গতিশীল ও সর্বজনীন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত দেশের সিংহভাগ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মস্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, দামের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চীন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে টিকা কার্যক্রমে। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অদক্ষতার কারণে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের অব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও দায়িত্বহীনতার কথায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিআইবির প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি অনেকটা খেদোক্তি করেই বলেছিলেন, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা অনেকের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার দাবির সাথে বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম নিয়ে শুধু টিআইবিই নয় বরং গণমাধ্যমে বছরজুড়েই স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর ফলাও করে প্রকাশিত হচ্ছে। তথ্যভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ এসব অভিযোগ খণ্ডন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরং শাকদিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হয়েছে বরাবরই।

সে সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বেসরকারি হাসপাতালের টেস্টিং জালিয়াতি, একজন ড্রাইভার বা নিম্নপদস্থ কর্মচারীর দুর্নীতি বা বিচ্ছিন্ন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে অস্বচ্ছতার খবর ছাড়া কেউ স্বাস্থ্যখাতের বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি। করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতি, পিপিই কেনায় দুর্নীতি, লোক নিয়োগে উৎকোচ-বাণিজ্য, বিদেশ থেকে চিকিৎসাসেবার অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেশে এনে বিমানবন্দরে ফেলে রাখাকে তিনি দুর্নীতি ও অনিয়ম মনে করেন নি। সরকারের পক্ষে দাবি করা হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সবকিছু ঠিকমতো চলছে। কিন্তু সে বক্তব্যকে কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব হয়নি বরং জাতীয় সংসদেও স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর পর্বেও সংশ্লিষ্টরা যেসব উত্তর দিয়েছেন একেবারে দায়সারা গোছের। এমনকি সরকারি, বিরোধী দল বা সরকারের শরিক দলের সদস্যরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি-অনিয়ম ও অদক্ষতার কঠোর সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন। কিন্তু তবুও এসব বিষয় আমলে নেয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের লাগামহীন দুর্নীতির প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্যখাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপরও। এমনকি ব্যক্তি পর্যায়েও বড় ধরনের দুর্নীতির খবরও গণমাধ্যমে আসছে বারবার। যা স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির ব্যাপকতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয় রীতিমত। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ২৬৮ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তদন্তে দরপত্র ছাড়া কেনাকাটা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষক মাহবুবুর রহমানকে বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দেয়া হয়েছে ‘গুরুপাপে লঘুদণ্ড’। তাও অবার নামকাওয়াস্তে। জানা গেছে, শাস্তি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত আগস্টে অভিযুক্তের দু’টি বার্ষিক বর্ধিত বেতন-ভাতা স্থগিত করেছে। পাশাপাশি তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ড রিলিজও করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে তিনি কোন ভাবেই কেয়ার করছেন না। কারণ, গত পাঁচ মাসেও অভিযুক্ত ও বিভাগীয় মামলায় দণ্ডিত হিসাব রক্ষক তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন নি। এতে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নও উঠেছে। একজন অধঃস্তন ব্যক্তি কীভাবে উর্ধ্বতনের সিদ্ধান্ত অমান্য সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সকল মহলে। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের হিসাব রক্ষকই এই দুর্নীতির পুরো প্রক্রিয়ায় সাথে যুক্ত এমন নয় বরং ঘটনার সাথে অনেক রাঘববোয়ালের সম্পর্ক আছে বলেই সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ-আইপিএইচ) সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অনিয়মে শুধু হিসার রক্ষক নন, আইপিএইচের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল অন্তত ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন। অতি প্রভাবশালী এই চক্রটি বছরের পর বছর ধরে দরপত্রে কারসাজি, দরপত্র ছাড়া কেনাকাটা ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। আইপিএইচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা শুনেছেন অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক নতুন কর্মস্থলে যাচ্ছেন না। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কেনাকাটায় অনিয়মের তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কমিটি করেছিল আইপিএইচের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কর্মচারীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, হিসাব রক্ষকের নেতৃত্বে একটি চক্র ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত ৩ অর্থবছরে আইপিএইচ ও এর বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ করা ২০০ কোটি টাকার কেনাকাটায় দরপত্র আহ্বান করেনি। চক্রটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও বিতরণে প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ হওয়া ৬৮ কোটি টাকা টাকার কেনাকাটাও দরপত্র ছাড়া করেছে। যা পুরোপুরি বেআইনী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়নি। আর মূল রহস্যটা তো এখানেই।

মূলত, কোটেশনের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে কেনাকাটা করার সুযোগ রয়েছে। বিধি অনুযায়ী, রাজস্বখাতে এক দফায় সর্বোচ্চ তিন লাখ ও উন্নয়নখাতে এক দফায় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকার কেনাকাটা কোটেশনের মাধ্যমে করা যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, আইপিএইচের চক্রটি বড় অঙ্কের কেনাকাটা কৌশলে ভাগে ভাগে করেছে, যাতে দরপত্র আহ্বানের বাধ্যবাধকতা না থাকে। যা দুর্নীতি ও অনিয়মের নবতর সংস্করণ। আইপিএইচের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্থাটির হিসাবরক্ষক, বিক্রয় ও সংগ্রহ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান ১৯৯২ সাল থেকে দীর্ঘ ২৯ বছর এই প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক পদে আছেন। যা তাকে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।

জানা যায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কমিটি গঠন করে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। গত ৪ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আইপিএইচকে দেওয়া এক চিঠিতে জানায়, মাহবুবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অবশ্য এর আগেই তাকে বদলি করা হয়। বদলির আদেশে বলা হয়, তিন কর্মদিবসের মধ্যে ছাড়পত্র না নিলে সরাসরি অব্যাহতি পেয়েছেন বলে গণ্য হবে। কিন্তু অজ্ঞাত খুঁটির জোরে তিনি কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছেন না।

দেশের স্বাস্থ্যখাত অতিউল্লেখযোগ্য খাত। একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে দেশের স্বাস্থ্যখাত অতিগুরুত্বপূর্ণ হলেও দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট ও লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা পুরো খাতেই নৈরাজ্যে ও অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। মূলত, সুশাসন ও জবাবদিহীতার অভাবেই দুর্নীতি এখন সকল ক্ষেত্রেই সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত করতে এ বিষয়ে শূণ্য সহশীলতা দেখিয়ে দায়ী ব্যক্তিদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্যখাত স্বাস্থ্যহীনই থেকে যাবে।

https://dailysangram.info/post/477329