১ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার, ৯:৪০

ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা কেজি

একের পর এক বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। একটি পণ্যের দাম কমলে বেড়ে যাচ্ছে আরো কয়েকটির দাম। চলতি সপ্তাহে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা বেড়ে দাম ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। শীতের সবজির ভরা মৌসুমে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আর চার সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির। ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগীর কেজি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। আর তিন সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা।

মুরগি ব্যবসায়ী মো. মিলন বলেন, যে হারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে, তাতে কেজি আড়াইশ’ টাকা হলেও আমরা অবাক হবো না। কারণ ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা বিক্রি করেছি। একদিনের ব্যবধানেই এখন ব্রয়লার কেজি ২০০ টাকা হয়েছে।

মুরগির দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগীর ডিমের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, শীতের বাজারেও সব ধরনের সবজির দাম চড়া। দুই-একটি সবজি ছাড়া এখনও বেশির ভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, অন্য কোনো বছর শীতের সময় এত বেশি দামে তারা সবজি কেনেননি। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, সিম প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, করোলা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা, মুলাও প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। প্রতি কেজি বরবটির ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানীরা। কোনো কোনো দোকানে আবার এর চেয়েও বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ফুলকা (পিঁয়াজের ফুল) প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, বাঁধাকপি ছোট সাইজের প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ছোট ব্রোকলিও প্রতি পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভালো মানের প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। পাশাপাশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, খিড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি। গরুর গোশতের দাম কেজি প্রতি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও খাসির গোশতের ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি।

https://dailysangram.com/post/476056