২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:০০

হেঁটেই রাজধানীতে আসা যাওয়া করছে মানুষ

ভোগান্তি থেকে প্রয়োজন বেশি

ঢাকার প্রবেশপথগুলো দিয়ে সহজে যানবাহন ঢুকতে না পারলেও ঠেকানো যাচ্ছে না পায়ে চলা মানুষকে। নানা প্রয়োজনে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে প্রবেশ করছেন রাজধানীতে। একইভাবে ঢাকা ছাড়ছেনও অনেকে। তাদের দাবি ঝুঁকি, ভোগান্তি ও কষ্টের থেকে প্রয়োজন বেশি হওয়ায় তারা হেঁটেই ঢাকায় প্রবেশ করছেন। আবার কেউ ঢাকা ছাড়ছেন। তবে এসব হাঁটা মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই চিকিৎসাজনিত কারণ উপস্থাপন করছেন। আবার কেউ কেউ জীবিকা, আত্মীয়ের অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখাচ্ছেন। যদিও হেঁটে চলাদের ক্ষেত্রে তেমন কঠোরতা দেখাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে গণপরিবহনের তালিকায় থাকা বাস, মিনিবাস, টেম্পো, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আবার ঢাকা থেকে বাইরেও যেতে দেয়া হচ্ছে না। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। আবার গুরুত্বপূর্ণ মনে না হওয়ায় অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ গাবতলী, আমিনবাজার এলাকায় এমনই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাইরে বেশ কয়েকটি জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তার তুলনায় ঢাকা অনেকটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। তাই রাজধানীকে কিছুটা সুরক্ষিত রাখতে এর আশপাশের সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এসব জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশপথে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্ট গলিয়ে কোনো যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারছে না। ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকেও পড়তে হচ্ছে কঠিন জেরার মুখে। জিজ্ঞাসাবাদে যদি ওই গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করার জরুরি প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে তবেই তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে, অন্যথায় ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়িকেও। যদিও কেউ চেকপোস্টে দায়িত্বরত সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন তাহলে তার গাড়িকে দেয়া হচ্ছে মামলা। এ দিকে যানবাহন না পেয়ে জরুরি প্রয়োজন থাকায় হেঁটেই রাজধানীতে প্রবেশ করছেন অনেকে। তারা ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে এসে সাভার আমিনবাজার নামছেন। এরপর সেখান থেকে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন।
পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করা আফসানা জানান, ঝুঁকি, ভোগান্তি ও কষ্টের থেকে প্রয়োজন বেশি হওয়ায় তারা হেঁটেই ঢাকায় প্রবেশ করছেন। তার বাবা রজমান আলীর দু’টি কিডনিই নষ্ট। তাকে সপ্তাহে দু’দিন ঢাকায় নিয়ে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। যা না করালে তিনি নির্ঘাত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন। গত মঙ্গলবার ছিল তার ডায়ালাইসিসের ডেট। কিন্তু ঢাকায় যেতে পারেননি। যার কারণে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আজ (গতকাল) না যেতে পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না। তাই এই কষ্ট বা ভোগান্তির চাইতেও তার ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজনটা বেশি। তিনি বলেন, ধামরাই থেকে বাসে করে ঢাকায় যেতেন তার বাবা। এতে কষ্ট হলেও অসুবিধা হতো না। কিন্তু লকডাউনে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে করে তারা আমিনবাজার পৌঁছেছেন। সেখান থেকে হেঁটে ঢাকায় আসছেন। তিনি বলেন, অসুস্থ বাবার এ পর্যন্ত হেঁটে আসতে কয়েকবার বিশ্রাম নিতে হয়েছে। তারপরও তাদের যেতে হবে।
গাবতলী চেকপোস্টের দায়িত্বরত একজন সার্জেন্ট বলেন, যানবাহন প্রবেশ সীমিত করতে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে পায়ে হাঁটা মানুষকে আটকানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যার কারণে পায়ে হাঁটা মানুষকে তারা খুব একটা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন না।
রাজশাহীতে ‘লকডাউন’ বাড়ল আরো এক সপ্তাহ
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে ‘বিশেষ লকডাউনের’ মেয়াদ তৃতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে গত ১৬ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউজে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় দ্বিতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে ২৪ জুন মধ্য রাতে। এর পর থেকে তৃতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে এবারের লকডাউনে রাজশাহী মহানগরীর সাথে কোনো উপজেলার যোগাযোগ থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। কেউ উপজেলা থেকে মহানগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার মহানগরী থেকে কেউ উপজেলা পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এর আগে গত ১০ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক থেকে প্রথম দফায় ১১ জুন বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী মহানগরীতে বিশেষ লকডাউনের আদলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের সংক্রমণের হার বেড়েছে। মৃত্যুও কমছে না। এ কারণে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, লকডাউনের সময় সব ধরনের ব্যবসায়িক দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁসহ আশপাশের অন্য কোনো জেলা থেকে যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যেতে পারবে না। রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সব দূরপাল্লার রুটের যানবাহন ও ট্রেন চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে রোগী, খাদ্য, ওষুধ ও পণ্যবাহী পরিবহন, সংবাদমাধ্যম এবং লাশ দাফন ও সৎকার কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ অন্য সব জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে জারিকৃত এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। আমের বাজারগুলো বড় পরিসরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হকসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে আবারো লকডাউন ঘোষণা
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ থেকে সাত দিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি। গতকাল বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তার প্রথম সভায় এ আদেশ দেন। তিনি জানান, আগামী সাত দিন পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে অন্য জেলা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় কেউ প্রবেশ করতে কিংবা অন্য জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় আসা-যাওয়াও করা যাবে না। সব ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, গণমাধ্যমকর্মী এর আওতার বাইরে থাকবে।
মেহেরপুরে ১৫ দিনের লকডাউন
মেহেরপুর সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় পুরো জেলাকে ১৫ দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ভার্চুয়াল সভা শেষে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন। লকডাউন চলাকালে মেহেরপুর আন্তঃজেলার সব ধরনের গণপরিবহন, চায়ের দোকান, ইজিবাইক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। খাবারের দোকান বা হোটেল রেস্তোরাঁ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে শুধুমাত্র খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করার জন্য। হোটেলে বসে খাওয়া যাবে না। অন্যান্য জরুরি পরিষেবা এর আওতার বাইরে থাকবে। চলতি মাসের ১০ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় সাড়ে তিন শ’ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় মারা গেছেন ৩৫ জন। সিভিল সার্জন ডা: নাসির উদ্দীন জানান, বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৩৩৫ জন।
জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগরে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে উপজেলার প্রতিটি প্রবেশপথে বাঁশ বেঁধে দেয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি প্রবেশ পথে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন বলেন, জীবননগর উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলায় সাতদিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে যাত্রী ও যানবাহন
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করছে যাত্রী ও যানবাহন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তেমন নজরদারি লক্ষ করা যায়নি। মুন্সীগঞ্জে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দেখা যায় সাধারণ লোকজনের চলাচল আগের চেয়ে অনেক বেশি। মিশুক ও অটো চলাচলও অনেক বেশি ছিল। গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিষেধাজ্ঞা এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী পারাপার রয়েছে আগের মতোই। দূরপাল্লার বাস ছেড়ে না গেলেও অবাধে চলছে অটোরিকশা, সিএনজি, প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যানসহ সব ধরনের যানচলাচল। খোলা রয়েছে মার্কেট শপিং মল এবং দোকানপাটও। অন্যদিকে প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার দাবি শতভাগ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে পুলিশসহ সকল প্রশাসন। সদ্য যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, বৃহস্পতিবার ১১টায় একটি জরুরি মিটিং হবে মিটিংয়ের পরে লকডাউনের বিষয় ও করোনাকালীন কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেসব বিষয় জানানো হবে। লকডাউন শিথিল করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নোমান হোসেন জানান, করোনাকালীন একটি কমিটি করা হয়েছে সেই কমিটি বৃহস্পতিবার একটি সিদ্ধান্ত দেবে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে কখন দোকানপাট খোলা থাকবে কখন বন্ধ রাখা হবে সব কিছু জানানো হবে।
রাজবাড়ী সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর তিন পৌর এলাকায় চলছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। বুধবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ও পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জেলা শহরসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজবাড়ী শহরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যদিও যাত্রীদের ছোট ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে চলাচল করতে হয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/590215