২৬ জুন ২০২১, শনিবার, ১:১২

সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আগামী সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

গতকাল শুক্রবার রাতে জরুরি তথ্য বিবরণীতে এ ঘোষণা দেয় তথ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

বিবরণীতে আরও বলা হয়, কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এছাড়া জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে। বিস্তারিত আদেশ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে, এটি সারাদেশব্যাপী হবে। তাহলে হয়তো সংক্রমণের চেইনটা ভাঙা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শাটডাউন’ নয়, এটি ‘বিধিনিষেধ’ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ‘যেটাই বলেন না কেন, এটি কঠোর বিধিনিষেধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এটি বলতে পারি।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইব মানুষ ঘরে থাকুক। এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে। সবাই যদি বাসায় থাকি, তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভেঙে যাবে এবং সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। যথেষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই এটি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই, যাতে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণটা কার্যকর হয়।’
এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি পরে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধ না মানার প্রবণতার বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। নতুন বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও দোকানপাট বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে গার্মেন্টস ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। শাটডাউন নয়, এটি বিধিনিষেধ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে। যেটাই বলেন না কেন, এটি কঠোর বিধিনিষেধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এটি বলতে পারি।

https://dailysangram.com/post/456711