২৮ মে ২০২১, শুক্রবার, ২:৫৭

স্বাস্থ্যে আরো দুটি বড় লুটপাটের ছক

চিকিৎসা খাতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টার স্থাপন’-এর মূল কাজের তেমন অগ্রগতি নেই গত আড়াই বছরে। কিন্তু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কেনাকাটায়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত জমির দখল নেওয়া, ভবন নির্মাণ, প্রশিক্ষণ ও নির্মাণ পরামর্শক নিয়োগ—এসব কাজের অগ্রগতি নেই। কিন্তু মূল প্রকল্পের প্রস্তাবনায় না থাকলেও একটি অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে তা খুবই দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এর জন্য তড়িঘড়ি করে একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৩ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো অনুমোদন দেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে কাজের আগেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজির মাধ্যমে সরকারি টাকা নয়ছয়ের পথ তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন শাখা। সরকারি ক্রয় নীতিমালার সব বিধি-বিধান উপেক্ষা করে ওই শাখা থেকে ১২ কোটি টাকার একটি প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চার কোটি টাকা করোনা সময়ের মধ্যে খরচ দেখানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে করোনাকালে কাজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার দেখানো হয়েছে। এমন অভিযোগের মধ্যেই আবারও ২৩ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই শাখার পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রমোশন দিয়ে ওই শাখার পরিচালক পদে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। এর পরই তিনি ক্রয় বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে নিজস্ব লোকজনকে অবৈধভাবে কার্যাদেশ দিয়েছেন কয়েকটি কাজের জন্য। এ নিয়ে সংক্ষুব্ধরা এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে একের পর এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পাশাপাশি আইনি নোটিশও করা হয়েছে।

বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টার স্থাপন

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টার স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উদ্দেশ্য হলো,

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে চিকিৎসা জীব প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিকমানের সুযোগ-সুবিধার একটি গবেষণাগার স্থাপন। প্রকল্পটি পাসের পর আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। প্রায় এক হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মূল কাজের অগ্রগতি হয়েছে খুবই সামান্য।

জানা যায়, গত ২১ জানুয়ারি প্রকল্পটির অধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু কোনো দরপত্র বিক্রি না করেই সেই দরপত্র আহ্বান বাতিল করে গত ১ এপ্রিল পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হয়। আন্তর্জাতিক দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য অন্তত ৪২ দিন সময় দেওয়ার কথা থাকলেও পুনঃ দরপত্রের অজুহাতে গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২৮ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে সময় কমিয়ে দেওয়ায় মাত্র দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে থেকে খুবই দ্রুততার সঙ্গে রিচম্যান নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে যায়, ল্যাবের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে একটিতে রিচম্যানের চেয়ে প্রায় চার কোটি, আরেকটিতে প্রায় তিন কোটি টাকা কম দর দিয়েও কাজ পায়নি অন্য একটি প্রতিষ্ঠান। ক্রয়কার্যের অর্থনৈতিক ক্ষমতাবলে প্রকল্প পরিচালক এরই মধ্যে রিচম্যানকে তিনটি কার্যাদেশ দিয়েছেন। বাকি দুইটি প্যাকেজের কার্যাদেশের অনুমোদন প্রকল্প পরিচালকের এখতিয়ারে বাইরে থাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সর্বোচ্চ দরদাতা না হয়েও রিচম্যান কেন কাজ পেল জানতে চাইলে প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলারের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এক সময় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) একটি প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। রিচম্যানও নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) কাজ করেছে। সেই সূত্রে প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে তাদের সখ্য বা আস্থার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব নির্মাণের যৌক্তিকতা এবং দ্রুততার সঙ্গে যন্ত্রপাতি ক্রয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও। প্রকল্পটির সংশ্লিষ্টরা জানান, যন্ত্রপাতি ক্রয় করে আপাতত বিএমআরসি ভবনে একটি ল্যাবরেটরি কার্যক্রম শুরু করা হবে। এখানে শুধু অসংক্রামক রোগের গবেষণা কার্যক্রম শুরু হবে। এই ল্যাবরেটরির জন্য ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতি প্রকল্পের মূল ভবন নির্মাণের পর সেখানে স্থানান্তর করা হবে। অথচ এই মূল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু তো দূরে থাক, এখনো ভবনের জন্য নির্ধারিত জায়গারই দখল নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পটির শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মশালার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অণুবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এ এইচ এম নুরুন নবী। গত ২৫ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠিতে অন্তর্বর্তী ল্যাব প্রতিষ্ঠা এবং সেখান থেকে যন্ত্রপাতি নতুন ভবনে স্থানান্তর সম্ভব কি না এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ ছাড়া চিঠিতে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের দিকেও গুরুত্ব দেন নুরুন নবী।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ডিপিপিতে পরামর্শক নিয়োগের গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ প্রসঙ্গে ডিপিপিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রকল্প। আমাদের দেশে এ ধরনের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় এটিই প্রথম উদ্যোগ। প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য কনসালট্যান্ট অত্যাবশ্যক। নির্মাণকাজ সম্পাদনের জন্য নির্মাণ কনসালট্যান্ট, যন্ত্রপাতি ক্রয়, স্থাপনা ও পরিচালনা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন, আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাগার পরিদর্শন ও যুগোপযোগী একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার নির্মাণের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণ কনসালট্যান্ট নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সম্মানী, যাতায়াত ভাতা, খাদ্য ও বাসস্থান ইত্যাদি কনসালট্যান্ট খাতে ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।

গত বছরের ২৪ মার্চ পরামর্শক নিয়োগের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময়েও সেই দরপত্রের মূল্যায়ন শেষ হয়নি। এসংক্রান্ত কোনো তথ্যও দরদাতাদের জানানো হয়নি।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য কেনাকাটার দরপত্র আহ্বান এবং এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই কার্যাদেশ প্রদানকে সন্দেহের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা এর পেছনে বড় দুর্নীতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক বিশেষজ্ঞ কালের কণ্ঠকে বলেন, ডিপিপি অনুযায়ী ল্যাবগুলো বিএসএল (Bio Safety Lab) ক্যাটাগরির। এগুলো স্থাপনের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পুরনো একটি ভবনে এ ধরনের ল্যাব স্থাপন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর এই ল্যাব স্থানান্তরের যে কথা বলা হচ্ছে তা বাস্তবসম্মত হবে না।

জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন ল্যাবের জন্য জনবল নিয়োগের বিষয়ে এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। ডিপিপিতে জনবলের অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন বলা থাকলেও অর্থ বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বিএমআরসির নিজস্ব কোনো জনবলও নেই। ফলে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পর তা ফেলে রাখতে হবে। এতে উচ্চমূল্যের এসব যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ যেমন বিঘ্নিত হবে, তেমনি বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের আশঙ্কা তৈরি হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী ল্যাবের জন্য কেনাকাটার দরপত্রগুলো আন্তর্জাতিক দরপত্র, যা ডলারে মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ প্রকল্পটিতে কোনো বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান নেই। নিয়ম অনুযায়ী ডিপিপি সংশোধন না করে এই কেনাকাটার অর্থ ডলারে পরিশোধের সুযোগ নেই। এর জন্য অর্থ বা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের দরকার থাকলেও তড়িঘড়ি করে তা না নিয়েই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএমআরসির পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। সেই পরামর্শেরও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এত তাড়াহুড়ার কারণ জানতে চাইলে একটি সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. সিরাজুল ইসলামের দায়িত্বের মেয়াদ শিগগির শেষ হওয়ার কথা। এ জন্যই হয়তো এত দ্রুত কেনাকাটার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ডা. সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রকল্পটির কাজ সম্পন্নের জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে বলেই আমি জানি। এর বেশি কিছু আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’

লাইফ স্টাইল হেলথ এডুকেশনে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজি

লাইফ স্ট্যাইল হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন শাখায় অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল সায়েন্স হোম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, লাইফ স্টাইলের পরিচালকসহ চারজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এবার আরো ২৩ কোটি টাকায় প্রচারণা কার্যক্রমের মানুষের শরীরে লবণ ও চিনির ক্ষতির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি প্রচারণাকাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে গোপনীয়তার মাধ্যমে আগে এই কাজের অভিজ্ঞতা নেই তেমন একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এবার ঈদুল ফিতরের আগের দিন হঠাৎ করেই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। আগামী ১০ জুনের মধ্যে ওই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। কার্যাদেশে বলা হয়েছে, ৪০টি উপজেলায় অ্যাডভোকেসি মিটিং করতে হবে। ২০টি বিলবোর্ড বানিয়ে তা লাগাতে হবে। ১০ মিনিটের একটি নাটিকা বানাতে হবে এবং ৩০ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন বানিয়ে তা ৪০০ বার প্রচার করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ১৫-২০ দিনের মধ্যে এসব কাজ করা সম্ভব নয় জেনেও নিজের পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই অভিযোগে জানানো হয়, দুদকের মামলা সত্ত্বেও ডা. সাইফুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। করোনায় কেনাকাটার দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দিলেও পরে আবার লাইফ স্টাইল হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন শাখার পরিচালক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. সাইফুলের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন গত কয়েক দিন ধরেই বন্ধ পাওয়া যায়।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2021/05/28/1037374