২৫ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ২:১৪

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি

প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী

প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঝরে পড়ার এই হার দিনকে দিন আরো বাড়ছে। তাই অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করছে ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টসহ সব প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক। তাই আমরা অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস পরীক্ষা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

এ দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের সব কিছু যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সেখানে আমাদের কেনো বসিয়ে রাখা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝরে যাচ্ছে। যেখানে অফিসার-কর্মচারী সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারবে না। তাই আমি বলব, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
‘সব কিছু সচল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন অচল, এক দফা এক দাবি-প্রতিষ্ঠান খুলে দিবি’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধান সড়কে মানববন্ধন করেছে গাজীপুরের শিক্ষার্থীরা। সকালে গাজীপুর শহরের জাগ্রত চৌরঙ্গীর পাদদেশে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

একই সাথে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আরিফ কলেজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

অন্য দিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে টাঙ্গাইল স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর যাবৎ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। অথচ সব কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়াসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।

এ সময় তারা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীরা।
কুবি সংবাদদাতা জানান, করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত আগামী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন পালন করেছেন।
গতকাল সকাল ১০টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক-সংলগ্ন রাস্তায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবির রায়হানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অনলাইন শিক্ষা মানি না, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মানি না’, ‘দাবি মোদের একটাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই’, ‘শিক্ষার অধিকার ফেরত চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই’Ñ এমন নানা স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী কুতুবউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী। পরিবারের স্বপ্ন আমাদের কাঁধে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় দুই বছর হতে চলল আমাদের অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা হতাশাগ্রস্ত। শিক্ষার্থীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।’

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। সারা বাংলাদেশে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজন আমরা বিশ্বরোড অবরোধ করব।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের মেসেজ আমি পেয়েছি। আমি আজকেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করব। তোমাদের এই দাবি আমাদের মতামতকে প্রকাশ করে। আমরা তোমাদের পক্ষে।’ ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করার দাবিতে ২৪ মে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, জেলা উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন, একই দাবিতে ২৪ মে বেলা ১১টার দিকে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন।

ইবি সংবাদদাতা জানান, আবারো আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা তিন দফা দাবি পেশ করেন। এ ছাড়া দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলোÑ অতিদ্রুত আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে, বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো দ্রুত গ্রহণ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আয়তায় আনতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দেশের সবখানে সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন দিয়ে সবকিছু বন্ধ রাখলে আমরাও ঘরে থাকব; কিন্তু হাট-বাজার, শপিংমল, ব্যবস্যাপ্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, কলকারখানা সব খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ঘরে রাখা অযৌক্তিক।

রংপুর অফিস জানায়, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।

গতকাল নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, বেগম রোকেয়া কলেজ, ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ বর্ডার গার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জিলা স্কুল, আরসিসি-সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেনÑ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব, কারমাইকেল কলেজের তাসফিকুল প্রধান, আরসিসি স্কুলের নেছার উদ্দিন আহমেদ, বর্ডার গার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র, বাজার, হাট, রাস্তাঘাট, সিনেমা হল থেকে শুরু করে সব কিছুই চলছে। কোনো বাধা-নিষেধ নেই। শুধু খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে আমরা শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছি। আমাদের অনেকেই বিপথগামী হচ্ছে। বক্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেনÑ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজেশ্বর দাশ গুপ্ত, নাসরিন আক্তার, ঋজু লক্ষ্মী, সুখী কুমার, ধ্রুব, ওসমান ও ইমন, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুর রুদ্র, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়–য়া ও শাহেদুল ইসলাম, সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী রকেট দাশ রকি, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদা ফাইরুজ প্রমুখ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আজ বিপন্ন, ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিয়তার মুখে। তারা দীর্ঘ সেশনজট-সহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘করোনায় কোনো কিছুই থেমে নেই, থেমে আছে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক কর্মসূচি, হাটবাজার-মার্কেট থেকে শুরু করে গণপরিবহনÑ সব কিছুই চলমান আছে। সারা দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচানো ও করোনাকালের ক্ষতি কাটিয়ে তোলার ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা গোটা দেশের ভবিষ্যৎকেই অনিশ্চিত করে তুলবে।’ মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং অতিদ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির : বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, মহাসচিব আবুল কাশেম এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো: এজাজ হোসেন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনা মহামারীতে শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হাট, বাজার, লঞ্চ, ফেরি, বাস, অফিস-আদালত, সব কিছুই পূর্ণোদ্যমে চলছে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায়? আমাদের জাতীয় জীবন প্রায় পুরোপুরি স্বাভাবিক। সুতরাং অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দিন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে জাতি বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভিডিও গেম-সহ নানাবিধ কুরুচিপূর্ণ আসক্তিতে মত্ত হয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছে এবং অভিভাবকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/583962/