৩১ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ৭:৩০

কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টায় ফেসবুককে ব্যবহার করতে চাইছে বাংলাদেশ : এইচআরডব্লিউ

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের অধিকারকে আরো খর্ব করার চেষ্টা জোরদার করেছে সরকার। এমনকি সরকার ফেসবুককে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করছে বলেও এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।

মীনাী গাঙ্গুলির নামে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে সহিংসতাকে উসকে দেয়ার বিষয়টি মোকাবেলা করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ কিন্তু প্রায়ই কৃঙ্খলা রার চেয়ে সমালোচনা বন্ধ করাই হয় রাষ্ট্রীয় পদেেপর মূল ল্য।
এতে বলা হয়, যখন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা অনেকেই খুন হয়েছেন। কিন্তু মতপ্রকাশের অধিকার সুরার বদলে সরকারের প থেকে বরং সতর্ক করে বলা হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না দেয়া হয়। এমনকি সরকার প্রায়ই প্রিন্ট ও ডিজিটাল মিডিয়ার ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে বলেও অভিযোগ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
ফেসবুকে ‘মজা লস’ নামক একটি ব্যঙ্গাত্মক পেজের পরিচালকের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আবার গত বছর সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে দিলীপ রায় নামে একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এখন বাংলাদেশ কর্তৃপ ফেসবুককেই সরাসরি সেন্সরশিপ আরোপের ভূমিকায় নিতে চাইছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য ফেসবুককে আলাদা নিয়মাবলি নির্ধারণের প্রস্তাবের কথা বলেছেন, যা তার মতে দেশের সংস্কৃতি, প্রথা, ইতিহাসকে সুরা দেবে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
ফেসবুক ২০১৩ সাল থেকেই কিছু কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ফেসবুক কিছু দিন বন্ধও রাখা হয়েছে। সরকারি কর্তৃপরে সাথে আলোচনা হয়েছে ফেসবুক কর্মকর্তাদের।
ফেসবুক কিছু ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্যও সরবরাহ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বললেও তাদের বিবৃতিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের সাথে সে উদ্ধৃতির সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। মি: জাকারবার্গের যে উক্তিটি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ব্যবহার করেছে সেটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারের েেত্র প্রযোজ্য হতে পারে।
এতে মিস্টার জাকারবার্গ বলেন, অপ্রয়োজনীয় ও অতিমাত্রায় সরকারি হস্তপে থেকে আমাদের কমিউনিটিকে সুরা দিতে আমরা লড়াই করছি।
মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে প্রস্তাবিত নির্দেশনাগুলো আইন বহির্ভূত হতে পারে এবং অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে যা ফেসবুককে যারা মতপ্রকাশের প্লাটফরম হিসেবে ব্যবহার করে তাদের জন্য তিকর হতে পারে।
এখন এটি ফেসবুকের ওপর নির্ভর করবে যে তারা সরকারের প্রস্তাবনাগুলো প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য লড়াই করবে কি না।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/208238