১৯ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ১১:১১

আশকারায় বেপরোয়া মাঠ প্রশাসন

মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বশীল পদে থেকে যাঁরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসদাচরণ করেন, তাঁদের পর্যাপ্ত শাস্তি দেওয়া হয় না। যাঁরা সামান্য শাস্তি পান, তা-ও লুকিয়ে রাখা হয়। অন্যদিকে যাঁরা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেন, তাঁদের নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। উভয়সংকটে মাঠ প্রশাসনের অবস্থা অনেকটা হ-য-ব-র-ল। যাঁরা অনিয়ম করেও শাস্তি পান না, তাঁরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। আর ঠিকমতো কাজ করেও যাঁরা কাজের স্বীকৃতি পান না, তাঁদের অনেকে খারাপদের পথ ধরেন। বর্তমানে এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা অনুবিভাগে কাজ করা সাবেক একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বেশির ভাগই উড়ো চিঠির, অনেকে ভয়ে নাম প্রকাশ করে অভিযোগ করেন না। প্রকৃত অভিযোগের অনেকগুলো নিচের পর্যায়ে সেন্সর হয়ে যায়। যে কয়েকটি বড় পর্যায়ে আসে, সেগুলোর বেশির ভাগই তদন্ত-পুনঃ তদন্তের দীর্ঘসূত্রতায় প্যাঁচে ঘুরতে থাকে বছরের পর বছর। অন্যদিকে যাঁরা বিচার করবেন তাঁদেরও অনেকে শাস্তি কমিয়ে দেন। যে দু-একটি ঘটনায় শাস্তি হয় সেগুলোও লুকিয়ে রাখা হয়। ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে বছর শেষে দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির ঘটনা চোখে পড়ে না।

জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের ভিডিও কেলেঙ্কারি পুরো দেশকে হতভম্ব করে দেয়। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ঘটা ওই কেলেঙ্কারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই কর্মকর্তার গত দেড় বছরেও চূড়ান্ত শাস্তি হয়নি। সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কত দিনে নিষ্পত্তি করতে হবে, এর কোনো বিধান নেই। ফলে অনেক বড় ঘটনা ঘটার পর অনেক দিন পার হয়ে গেলে সেগুলো আর কেউ মনে রাখে না। তখন শাস্তি কী হলো তা নিয়েও তেমন আলোচনা থাকে না। শাস্তির বিষয়গুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশও করে না।

গত বছর সাংবাদিক পিটিয়ে বড় আলোচনায় আসেন কুড়িগ্রামের তখনকার ডিসি সুলতানা পারভীন ও তাঁর অধীন তিন ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন, রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলাম। ডিসিসহ অন্যদের ওই জেলা থেকে প্রত্যাহার করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া বিভাগীয় মামলা শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই চারজনের মধ্যে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাকরির শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ থাকলেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। তাই তিনি কুড়িগ্রামে রাতের বেলায় সাংবাদিকের বাসার দরজা ভেঙে তাকে তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর সাহস দেখাতে পেরেছেন।

নাটোরের সাবেক ডিসি গোলামুর রহমান তাঁরই অধীনে থাকা এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ওএসডি হন। সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও দুই বছরের বেশি সময় চলে গেছে, কিন্তু গোলামুর রহমানকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। বর্তমানে তিনি ‘চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।

বছর পাঁচেক আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকার সময় এ এইচ এম আসিফ বিন ইকরাম বিভিন্ন পাথরকোয়ারির কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন। ঘটনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়। এর পরও ইউএনওকে তেমন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি। তৎকালীন জনপ্রশাসনসচিব তাঁকে দুই বছরের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার শাস্তি দিয়েছিলেন। এরপর আসিফ বিন ইকরামকে শাল্লা উপজেলার ইউএনও নিয়োগ দিলে সেখানে এক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে হেনস্তারও অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। জনপ্রশাসনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আইন অনুযায়ী ঘুষের ঘটনায় এই কর্মকর্তার চাকরি চলে যাওয়ার মতো ‘গুরুদণ্ড’ হওয়ার কথা। শীর্ষপর্যায় থেকে ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই কর্মকর্তা চাকরিতে বহাল তবিয়তে আছেন। বর্তমানে তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক হিসেবে ঢাকায়ই পোস্টিং পেয়েছেন। নদী রক্ষা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই পোস্টিংয়ে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা না থাকায় নাখোশ আসিফ চেষ্টা করছেন ‘ভালো’ কোনো পোস্টিং বাগানোর। নিয়মিত অফিসও করেন না।

জনপ্রশাসন সূত্র জানায়, তদন্তে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে গুরুদণ্ড পাওয়ার কথা, কিন্তু দেওয়া হয়েছে লঘুদণ্ড; তা-ও তুলনামূলক ‘কম শাস্তির লঘুদণ্ড’। সরকারি চাকুরে আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী, ‘লঘু’ ও ‘গুরু’ দুই ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। লঘুদণ্ডের মধ্যে চারটি ধাপ হচ্ছে তিরস্কার, বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি স্থগিত, বেতন স্কেল নিম্নধাপে অবনমিতকরণ ও ক্ষতিপূরণ আদায়। আর গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে নিম্ন পদে বা নিম্নতর স্কেলে বেতন অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ ও চাকরি থেকে বরখাস্ত।

জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ডিসি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালে ঘুষের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানায় দেওয়ার অভিযোগে একজন উপসচিবকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি। কিন্তু অধিকতর তদন্তের সময় প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সেই কর্মকর্তা নির্দোষ হয়ে যান। শাস্তি তো তাঁকে পেতেই হয়নি, উল্টো মাঠ থেকে সচিবালয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এভাবে মাঠ প্রশাসনে অনেক গুরুতর অপরাধ করেও শীর্ষপর্যায়ের হস্তক্ষেপে পার পেয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র কর্মকর্তারা; যার চিত্র কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে উঠে এসেছে।

গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের এক অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনসচিব শেখ ইউসুফ হারুন মন্তব্য করেন, ‘আমাদের কর্মকর্তাদের অপরাধপ্রবণতা এখন এত পরিমাণে বেশি যে প্রতিদিন আমাকে তিন-চারটি করে বিভাগীয় মোকদ্দমা শুনতে হয় এবং অনেকের শাস্তি হয়। এটি কিন্তু আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’ ইউসুফ হারুন আরো বলেন, ‘অভিযুক্তদের জন্য অনেকে তদবির করতে আসেন। এসব তদবিরে আমরা চরমভাবে বিব্রত হই।’ তিনি বলেন, ‘অপরাধের ক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা করা হয়। অনেকের তো বড় শাস্তি হওয়া উচিত। তার পরও পরিবেশ-পরিপ্রেক্ষিতসহ সব কিছু বিবেচনা করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে সচিব মর্যাদায় অবসরে যাওয়া ফারুক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে অফিসাররা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে ভালো কাজ করেন। যারা খারাপ করে তাদের খারাপটা শুধু তাদের ব্যক্তিগত কারণে হয় তা বলা যাবে না। এর জন্য সামগ্রিক পরিস্থিতি দায়ী।’

মাঠ প্রশাসনে পেশাদারির সঙ্গে কাজ করা একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠ প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এমন ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন যে তাঁরা সেবকের পরিবর্তে হর্তাকর্তার ভাব দেখান। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও সুবিধা পাওয়ার আশায় এসব কর্মকর্তার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও সঙ্গে রাখা হয়। যেসব সাংবাদিক বাধা হয়ে দাঁড়ান তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে গ্রুপিং তৈরি করান কোনো কোনো কর্মকর্তা। এতে নিজেদের অপকর্মের অনেক কিছু গণমাধ্যমে আসে না।

মাঠ প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা আইন-কানুন মেনে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে চান। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীর স্বার্থের কাছে তাঁদের নতি স্বীকার করতে হয়। প্রয়োজনে শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে তাঁরাও মানিয়ে চলার নির্দেশনা দেন। সেসব কর্মকর্তা মানিয়ে চলতে গিয়ে মূলত দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীর্ষপর্যায় থেকে মানিয়ে চলার বার্তা প্রকারান্তরে দুর্নীতিতে উৎসাহের সমান।

একজন অফিসারের মানিয়ে চলতে গিয়ে ছোটখাটো অনিয়ম করে নৈতিক ভিত্তি নষ্ট হয়ে যায়। পরে বড় দুর্নীতি করতেও তাঁদের মানসিক বাধা থাকে না। কিছু ব্যতিক্রমী কর্মকর্তাও আছেন, যাঁরা নিজেরা দুর্নীতি না করে যতটুকু সম্ভব জনস্বার্থ রক্ষা করে স্থানীয় চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে ইউএনও, এসি ল্যান্ডকে একজন জনপ্রতিনিধির গালাগালের বিষয়টি প্রশাসনে ব্যাপক আলোচিত।

জনপ্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দোষ করলে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে, সঙ্গে সেটা প্রচারও করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি সেবার মানোন্নয়ন এবং কর্মচারীদের অবস্থার উন্নতির জন্য শুদ্ধাচার কৌশল-২০১২ প্রণয়ন করেছে সরকার। কৌশল অনুযায়ী, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিকই বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেবার মান না বেড়ে বরং কমে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিবের মতে, জনপ্রশাসনসচিব তাঁর বক্তব্যে অনেক সত্য বলেছেন। সেই সঙ্গে এ-ও বলেছেন, কিছু শাস্তির ক্ষেত্রে ‘মানবিক ও পরিবেশ-পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা’ করেন। কেন তিনি সেটা করবেন? আইনে কি মানবিক দিক দেখার সুযোগ আছে? যে যেই শাস্তির যোগ্য তাকে সেটা দিতে হবে। না হয় প্রশাসন ঠিক রাখা যাবে না।

অন্য এক কর্মকর্তার মতে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবস্থানের চেয়ে আইন-বিধির পরিবর্তন জরুরি। অফিসারদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর ‘সরকারি চাকুরে আইন-২০১৮’ প্রণয়ন হয়েছে, যা ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর। অথচ প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে প্রণীত সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা’ও প্রণয়ন করেছে সরকার। এই বিধিমালায় একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত লঘু ও গুরুদণ্ড তদন্ত ও শাস্তির যে প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়েছে, তা বুঝতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, এমন দীর্ঘসূত্রতার কারণেই মানুষ বলে, সরকারি চাকরি পাওয়া সহজ, যাওয়া কঠিন।

মাঠ প্রশাসনে দুর্নীতির বড় আখড়া ভূমি অফিস। প্রশাসনের যাঁরা শীর্ষ কর্মকর্তা হন, তাঁদের চাকরি জীবনের প্রথম পোস্টিং হয় ভূমি অফিসে। ফলে প্রথমেই দুর্নীতির সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন অফিসাররা। প্রশাসনের ভালো চিন্তা করেন, এমন একাধিক কর্মকর্তার মতে, একেবারে নতুন অফিসারদের অন্তত দুই বছর ভালো কোনো জায়গায় পোস্টিংয়ে রেখে পরে মাঠে পাঠানো উচিত। মাঠ প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শীর্ষপর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিতেও অনেক বাধা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০৯ সালে তৎকালীন ভূমিসচিব এহসান উল ফাত্তাহ ভূমিকেন্দ্রিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঠ প্রশাসনে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার জেরে তাঁকেই ওএসডি করে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রশাসনের সার্বিক উন্নতির জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়ার মতে, স্বজনপ্রীতি, লবিং বা ক্ষমতার জোরে দোষী ব্যক্তির শাস্তি কমে গেলে বা শাস্তি না হলে প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড বজায় রাখা কঠিন হবে।

জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। দোষ অনুযায়ী যে শাস্তি দেওয়া হয় তা পর্যাপ্ত কি না তা আইনি বিষয়, এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে পারি না।’

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2021/01/19/996380