৯ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ১:২৪

নতুন অণুজীবের আতঙ্ক

পৃথিবীজুড়ে অব্যাহত কালান্তক করোনার কালবেলা। বছর ঘুরতে চললেও সংক্রমণের দাপট এখনো ঊর্ধ্বমুখী। আর এই মরণব্যাধির দাপটে যখন হাঁসফাঁস অবস্থায় সাধারণ মানুষ- ঠিক তখনই ফের আরো এক আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। সমপ্রতি একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জার্নালে স্পেনের গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, শুধু করোনার মতো জীবাণুই নয়, যেকোনো ধরনের এককোষী অণুজীব অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে? নতুন গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, এই জীবাণুগুলো কেবল মানব এবং প্রাণী স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে না, জলবায়ু এবং বাস্তুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে এরা। ‘অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চ জার্নালে’ প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে বা একটি পাত্র থেকে দ্রুত অন্য পাত্রে প্রবেশ করে নোংরা জীবাণু ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এর ফলে মানবদেহ ছাড়াও পরিবেশের উপরও যথেষ্ট কুপ্রভাব পড়ে। স্পেনের গ্রানাডা ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের মতে, এই অ্যারোসোলগুলো ব্যাকটিরিয়ার জন্য ‘লঞ্চ বাহন’-এর মতো কাজ করে এবং সমস্ত মহাদেশজুড়ে সংক্রমিত রোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তারা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, ব্যাকটেরিয়া আইবারুলাইটগুলো একাধিক খনিজ দ্বারা তৈরি।

বিশাল বায়ুমণ্ডলীয় বায়োঅ্যারোসোল, প্রায় একশ’ মাইক্রন গড়ে পরিমাপ করা হয়।

২০০৮ সালে এই বায়োঅ্যারোসোলগুলো আবিষ্কার করা হলেও, বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, যে পদ্ধতি দ্বারা জীবাণুগুলো বায়ুুমণ্ডলীয় আইবারুলাইট তৈরিতে জড়িত তা এখনও অজানা। বর্তমান সমীক্ষায় গবেষকরা স্পেনের গ্রানাডা শহরে বায়ুুমণ্ডলীয় ধূলিকণা জমার বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে তারা দেখিয়েছেন যে, এই সংক্রমিত ব্যাকটেরিয়ার চরিত্র কিছুটা ভিন্নধর্মী ছিল। এর গঠনের মধ্যে প্রধানত কাদামাটি, কোয়ার্টজ এবং কার্বনেট খনিজ এবং লোহার অক্সাইডগুলো কিছুটা কম ছিল। গবেষকদের মতে, এই অ্যারোসোলগুলো পুরো পৃথিবীজুড়ে থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে সেই অঞ্চলগুলোতে এরা বেশি রয়েছে যেখানে মরু অঞ্চলগুলো থেকে ধুলো বয়ে যায়। ফলে সংক্রমণের বিস্তার আরও প্রসারিত করে তুলতে পারে এই ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুগুলো।

https://mzamin.com/article.php?mzamin=257863