৭ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:৫২

টিকা কেনা হবে দুই দামে

২ ডলার দামে ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ডোজ; ৬ থেকে ১০ ডলারে ৩ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ডোজ; স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্করা পাবেন আগে

করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য দুই ধরনের দামে ১০ কোটি ৮৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন (টিকা) কেনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ নেই কী পরিমাণ ডোজ কেনা হবে। তবে এই ডোজগুলোর দামের তফাৎ প্রতিটির চার থকে আট ডলার পর্যন্ত। ওই ১০ কোটির বেশি ডোজের দাম ধরা হয়েছে তিন হাজার ৪৩৭ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। শিপিং, পরিবহন ও অপারেশন মিলে খরচ হবে ৪৫২ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরিকল্পনা কমিশন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের সাথে কথা না বললেও স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, জি-টু-জি কোনো বিষয় নয়। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায় এই ব্যাপারে অবগত রয়েছেন। কাজেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে দেরি হবে না। আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলতে হবে।

আগারগাঁওয়ের এসইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কোভিড-১৯ জরুরিভিত্তিক প্রকল্পে ভ্যাকসিন কেনার জন্য খরচ যুক্ত করে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন। পরে এই প্রকল্পটিসহ অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট বিভাগের সদস্যগণ।

চলমান কোভিড-১৯ প্রকল্প প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা কমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, প্রথমে বিদেশী ঋণে এক হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা খরচে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। এখন ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। এর জন্য বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ঋণ বাড়িয়ে ৬ হাজার ৬১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা দিচ্ছে। এখানে ভ্যাকসিনের জন্য ৫০ কোটি ডলার। ভ্যাকসিন কেনা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

ভ্যাকসিনের ব্যয় বিভাজনে দেখা যায়, মোট জনশক্তির ২০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪৪ লাখ জনের জন্য ২ ডলার দামে দু’টি করে ডোজ কিনতে খরচ এক হাজার ১৭৫ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বা ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এখানে ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৫ হাজার ডোজ কেনা হবে। আর প্রাপ্তি সাপেক্ষে ১১ শতাংশ বা ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৬ থেকে ১০ ডলার দামে ৩ কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার ডোজ কেনা হবে। এতে খরচ হবে ২ হাজার ২৬২ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। মার্কিন মুদ্রায় ২৬ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১১ শতাংশের জন্য যে ভ্যাকসিন আনা হবে তাতে শিপিং খরচ ভ্যাকসিন মূল্যের ৩ শতাংশ ধরে ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার টাকা বা ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর সবগুলো ভ্যাকসিন পরিবহন ও অপারেশনে খরচ হবে ৩৮৪ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার টাকা বা ৪ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, কোল্ড চেইন এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় ৩৪৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা বা ৪ কোটি ৮ লাখ ডলার।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকার আওতায় আনা হবে না।

প্রকল্প পরিচালক ডা: মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অন্যতম মাইলফলক। বিশ্বব্যাংক ভ্যাকসিন কেনা প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে। এটা ইতিবাচক। ভ্যাকসিন কেনা প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়বে। ভ্যাকসিন কেনা প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে মেঘলা দিন কেটে যাবে। আমরা আলোর মুখ দেখছি। মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে এবং করোনাভীতি কেটে যাবে। তিনি জানান, প্রতিটি উপজেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, মাইকিং ও প্রকাশনা খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য একটি করে দুটি মোবাইল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ভ্যানের সংস্থান রাখতে বলা হয়েছে।

কী পরিমাণ ভ্যাকসিন কোথা থেকে কেনা হবে এমন প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা শুধু প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছি। ভ্যাকসিন কিভাবে কোথা থেকে আনা হবে সেটা বলতে পারবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ভারত থেকে টিকা আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কিভাবে কোত্থেকে আসবে, তা দেখার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তারা এ বিষয়টি বলতে পারবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই ভ্যাকসিন বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। আমাদের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে।

স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্করা পাবেন আগে : এ দিকে করোনা টিকার পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা হবে এবং এতে সময় লাগবে ১৯২ দিন।

টিকার উৎসের ওপর ভিত্তি করে আমদানির রেজিস্ট্রেশন পেতে আলাদা সময় লাগবে। কোভ্যাক্সের (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংগৃহীত) টিকার রেজিস্ট্রেশন ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে করে দেয়া হবে। তবে অন্য উৎস থেকে টিকা আনলে অথবা দেশে টিকা উৎপাদন করা হলে অনুমোদনের জন্য ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়েছে।

পরিকল্পনায় বলা হয়, টিকা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি ও জনবল নিয়োগের মতো কাজ করতে দুই মাসের মতো সময় লাগবে। টিকাদান কর্মসূচি পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণে সহায়তা ও সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সব পর্যায়ে পরিকল্পনা ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে।

টিকা বণ্টনের বিষয়ে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে এমন মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই থাকবে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় সরাসরি নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারিতে থাকা কর্মী এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল রোগীরা। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে বয়স্ক, স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে এমন বয়স্ক মানুষ, শিক্ষাকর্মী, জনপরিবহনের কর্মীরা। তিন পর্যায়ে পাঁচ ধাপে ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩ শতাংশ বা ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জনকে টিকা দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে ৭ শতাংশ বা এক কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৭ জনকে দেয়া হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে এক ধাপে ১১ থেকে ২০ শতাংশ বা এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পাবেন। তৃতীয় ও সর্বশেষ পর্যায়ে দুই ধাপে টিকা দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২১ থেকে ৪০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪১ থেকে ৮০ শতাংশ বা ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

দুইজন টিকাদানকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ছয়জন করে একেকটি দল তৈরি করা হবে যারা এই টিকাদান কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে পরিচালনা করবেন। প্রতিটি দল প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে বলে ধরা হয়েছে। ছয়জনের দলগুলোতে একজন নারী ও একজন পুরুষ টিকাদানকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী থাকবেন।

প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে যে তিন শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবে তারা হচ্ছেন সব ধরনের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজকর্মী যারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরাসরি জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফারি পেশায় নিয়োজিত কর্মী, মেডিক্যাল ও প্যাথলজি ল্যাবকর্মী, পেশাদার স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সাইকোথেরাপির সাথে সংশ্লিষ্ট, মেডিসিন পার্সোনেল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক মিলে তিন লাখ ৩২ হাজার জন।

সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী যারা স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ধাপে কাজ করে কিন্তু সরাসরি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় যেমন স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যবস্থাপনাকর্মী, ক্ল্যারিক, বাণিজ্যকর্মী, লন্ড্রিকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ির চালক-এমন এক লাখ ২০ হাজার জনকে টিকা দেয়া হবে।

এ ছাড়া দুই লাখ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা, পাঁচ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য, তিন লাখ ৬০ হাজার অন্যান্য বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী, নেভি, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দফতরের ৫০ হাজার কর্মকর্তা, ফ্রন্টলাইনে কাজ করা সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী মিলে ৫০ হাজার জনকে টিকার আওতায় আনা হবে।

এই ধাপে আরো যারা টিকা পাবেন তারা হচ্ছেন, জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকর্মী, ধর্মীয় নেতা, দাফন ও সৎকারে নিয়োজিত কর্মী, ওয়াসা, ডেসা, তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, স্থল, সমুদ্র ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী শ্রমিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মী, ব্যাংক কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে এমন রোগী, রোহিঙ্গা এবং বাফার, জরুরি ও মহামারী ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী।

প্রথম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে ৬০ বছর বা এর চেয়ে বয়স্ক নাগরিকদের। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিক, বয়স্ক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষ, শিক্ষক এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়া মিডিয়াকর্মী, দুর্গম এলাকায় বসবাসরত মানুষ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য, গণপরিবহন কর্মী, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ওষুধের দোকানের কর্মী, গার্মেন্টশ্রমিক, যৌনকর্মী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা।

তৃতীয় পর্যায়ের দু’টি ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে যাদের টিকা দেয়ায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে তাদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যারা আগের ধাপে টিকা পাননি, গর্ভবতী নারী, অন্যান্য সরকারি কর্মচারী, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্মী, অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী, রফতানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দর কর্মী, কয়েদি ও জেলকর্মী, শহরের বস্তিবাসী বা ভাসমান জনগোষ্ঠী, কৃষি ও খাদ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী, ডরমেটরির বাসিন্দা, গৃহহীন জনগোষ্ঠী, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, বাদ পড়া গণপরিবহন কর্মী, বাদ পড়া ৫০-৫৪ বছর বয়সী নাগরিক, জরুরি ও মহামারী ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা।

তৃতীয় পর্যায়ের শেষ ধাপে যারা টিকা পাবেন তারা হচ্ছেন অন্য ধাপে বাদ পড়া যুব জনগোষ্ঠী, শিশু ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং এর আগের সব ধাপে বাদ পড়া জনগোষ্ঠী।

সরকারি ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। সরকারি ছুটির দিনে বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় নির্ধারিত কিছু টিকাদান কেন্দ্রে সন্ধ্যায় টিকা দেয়া হবে।

জাতীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় রেফ্রিজারেটর ট্রাকে করে টিকা পরিবহন করবে ইপিআই। জাতীয় পর্যায় এবং অগ্রাধিকার পরিকল্পনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের টিকার আওতায় আনতে আলাদা পরিকল্পনা প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছে এই পরিকল্পনায়। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে কম ঝুঁকিতে রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/553839