১৭ অক্টোবর ২০২০, শনিবার, ২:০০

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ॥ জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে

নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার রায়ে সম্প্রতি তিন পুলিশ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সাত বছর আগে (২০১৩ সালে) পাস হওয়া এই আইনের রায়ের পর মনে করা হয়েছিল দেশে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।

অভিযোগ আছে, হেফাজতে মৃত্যু এবং নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চেয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। অনেক ক্ষেত্রে বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করার পর পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এ কারণে পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচার প্রত্যাশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। পুলিশি নির্যাতনে আহত হলেও ভুক্তভোগীরা অনেকে মামলা করেন না। তবে এসব ঘটনায় পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি অনেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে বলে পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত, পদোন্নতি স্থগিত ও পদাবনতির মতো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের আটক করে আইনের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদরদফতর থেকে বলা হচ্ছে- কোনো সদস্যের অপকর্মের দায় পুরো বাহিনীর ওপর চাপানো সঠিক নয়। কোনো সদস্যের অপকর্মের দায়ভার পুরো বাহিনী বহন করবে না। অপরাধী সে যেই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তথ্য অনুযায়ী গত ২০ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন ২৮ জন। আসকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে গ্রেফতারের আগে ও পরে ১২ আসামীর মৃত্যু হয়েছে। গত বছর (২০১৯) সালে হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৬ জন।

গত ১০ অক্টোবর রাতে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। অভিযোগ রয়েছে, বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এসআই আকবর পলাতক। এ মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রায়হানের মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবার জানায়, ৯ অক্টোবর পুলিশ তাকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। বলা হয়, টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। পরদিন মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানার পর রায়হানের মা তার চাচাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠান। কিন্তু পুলিশ তা নিতে রাজি হয়নি। পরে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়া হলেও ততক্ষণে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর রায়হানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার হাতের নখ উপড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন করে রায়হানকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এরমধ্যে এসআই আকবর হোসেন পুলিশ লাইন থেকে পালিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় এসএমপির তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি জানতে পারে ভোর ৩টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রায়হানকে আনা হয় বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবরের নেতৃত্বেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রায়হানকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী। ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে। তিন ঘন্টার ফুটেজ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের হাতে আটকের পর ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতনের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এক বিবৃতিতে আসক জানায়, সিলটে রায়হানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই ১৩ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা হাজতে মামুন মিয়া নামের আরেক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়। গত ক’দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে সংস্থাটি।

আসকের নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো. নূর খান স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ অক্টোবর সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলার খ্রিস্টানপল্লির বাঁশঝাড় থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, পরদিন ১২ অক্টোবর ওই নারীর স্বজনরা অটোরিকশা চালক মামুনকে সন্দেহভাজন হিসেবে মারধর করে শ্রীনগর থানায় সোপর্দ করে। ১৩ অক্টোবর সকালে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আসামীকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থানা পুলিশ তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে। এই ফাঁকে আসামী মামুনকে তার পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে হাজতখানার ভেতর টয়লেটের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, পুলিশ গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মামুনকে আটক করলেও ১৩ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তাকে আদালতে পাঠানো হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে নবাবগঞ্জ থানা হাজতের সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ দেখানো হয়, যেখানে মামুনকে বাথরুমে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু ওই ফুটেজের সম্পূর্ণ অংশ দেখতে চাইলে পুলিশ তা দেখায়নি। এছাড়া সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গেলেও তাদের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি। এসব কারণে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মামুনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে আসক বলে, গত দুই সপ্তাহে রাজধানীর পল্টন ও নবাবগঞ্জ থানা, সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া থানা হেফাজতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আসক মনে করে, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর মতো ঘটনা নিরসনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা দরকার।

২৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবি আই) হেফাজতে রাজা ফকির নামে এক আসামীর মৃত্যু হয়। রাজার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার পল্টন থানা হেফাজতে মাসুদ রানা নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। একই দিনে রংপুরের গঙ্গাচড়া থানা হেফাজতে নির্যাতনের কারণে এজারুল নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বছরের শুরুতে ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার হাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৩৫) নামে একজন আসামী মারা যান। পুলিশ বলছে, ঐ আসামী হাজতের গ্রিলের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে গ্রিলের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে রাজি নন নিহত বাবুর সহকর্মীরা। বাবু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একজন নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। ঐ মামলাতেই গত ১৮ জানুয়ারি রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাবুর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে এফডিসির সহকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারাদেশে পুলিশের হেফাজতে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে গ্রেফতারের আগে নির্যাতনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতারের পর শারীরিক নির্যাতনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। থানার হাজতখানায় দুই জন আত্মহত্যা করেন। দুইজন অসুস্থ হয়ে মারা যান। বাকি দুইজন নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গাড়িচালক আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায়। থানায় রেখে রাতভর মারধর করা হয় তাকে। থানা থেকে মুক্তি পেতে তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরে তার কাছ থেকে ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঐ মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়।

আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সময় তিনি পড়ে যান। ১৯ ডিসেম্বর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে মৃতের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, দুই এসআই ও মো.সোহাগ নামে একজনকে আসামী করে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৯ নবেম্বর নরসিংদীতে জেলা ডিবি পুলিশের হেফাজতে ইউসুফ মিয়া (৩৫) নামে এক আসামীর মৃত্যু হয়। ৪ নভেম্বর নরসিংদীর ঘোড়াশালে পাঁচটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় মাধবদীর বিরামপুর এলাকা থেকে ইউসুফ মিয়া ও রোকসানা বেগম নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ ডাকাতির কথা স্বীকার করে। ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করতে গেলে ইউসুফ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানোর সময় রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে চেক ডিজঅনার মামলার আসামী ফারুক মিয়ার (৪৮) মৃত্যু হয়। ঐদিন গভীর রাতে পুলিশ বাসায় অভিযান চালিয়ে ফারুককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে ফারুক অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ফারুকের ভাই আব্দুল মতিন হাসপাতালে গিয়ে ফারুকের লাশ দেখতে পান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাশাপাশি দুই হাতের কনুই ও দুই পায়ের আঙুল থ্যাঁতলানো ছিল। ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ জানায় যে ফারুককে আটকের সময় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে সে একটি উঁচু দেওয়াল টপকানোর চেষ্টা করে। এ সময় আঘাত পেলে অসুস্থ হয়ে সে মারা যায়।

পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হেফাজতে মৃত্যু নানা কারণে হতে পারে। নির্যাতনের অভিযোগ যেমন উঠে আসে, তেমনি অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুর উদাহরণও রয়েছে। হেফাজতে আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে কখনো কখনো। পুলিশি হেফাজতে যে কারণেই মৃত্যু ঘটুক না কেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্যদের কোনো গাফিলতি, বিচ্যুতি বা অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’

নির্যাতন এবং অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইন করার সনদে বাংলাদেশ সই করে ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আইনটি পাস হয়, যার মূল কথা গ্রেফতারের পর কোনো আসামীর মৃত্যু হলে মামলা করা যাবে এবং ঘটনার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ওপর বর্তাবে। আইনটি হওয়ার পর ২০১৪ সালে একটি মামলা হয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই আইনের প্রথম রায়ে ইশতিয়াক হোসেন জনি নামের এক গাড়িচালককে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে পল্লবী থানার তৎকালীন পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য দুই আসামীর সাত বছর করে জেল হয়।

https://dailysangram.com/post/430931