ছবি: বিবিসি
১৭ এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার, ৬:৪০

সারা দেশ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ৪৫ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩৪১ মৃত্যু ১০

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে নয় * এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ * সন্ধ্যা ৬টা-ভোর ৬টা বাইরে যাওয়া নিষেধ * ২৮ জেলা ও ৮ উপজেলা লকডাউন

করোনাভাইরাসে দেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। একদিনের রেকর্ড ভাঙছে আরেকদিনের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত শনাক্ত এক হাজার ৫৭২ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০।

ভাইরাসটি প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় সংক্রমিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৫ জেলায় বিস্তার ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ রাজধানী ঢাকায়। এখানে ১০৪ স্থানে ৬০৮ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সরকার সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পাশাপাশি প্রথমবারের মতো এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে সারা দেশকে ‘কার্যত’ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। সংক্রমণ রোধে ৭ এপ্রিল থেকে একের পর এক জেলা লকডাউন করা হয়।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জেলা সম্পূর্ণ এবং আরও ৮ জেলার ৮ উপজেলা ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো আসে। এতে বলা হয়, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১নং আইন)-এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।

এর আগে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরাসরি অনলাইন লাইভ ব্রিফিং করা হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন। এযাবৎ এটি একদিনের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড।

আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। মোট দুই হাজার ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে সন্দেহভাজনদের মধ্যে যাদের পরীক্ষা হয়েছে তাদের প্রায় ১৭ শতাংশই আক্রান্ত পাওয়া গেল মরণঘাতী করোনাভাইরাসে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে এটিও রেকর্ড।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৫টিতেই এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস করোনার ছোবল পড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মানুষ রাজধানীতে। এই শহরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৬০৮ জন। রাজধানীর ১০৪ স্থানে রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এরপরই আক্রান্ত মানুষ বেশি আছে নারায়ণগঞ্জে, ২৫৫ জন। আক্রান্তের নতুন ভরকেন্দ্র গাজীপুর। সেখানে পাওয়া গেছে ৮২ জন। মরণঘাতী ভাইরাসের ছোবল থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরে থাকতে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঘোষণাপত্র : যেহেতু মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ও লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ঘটেছে।

হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হল পরস্পরের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা। যেহেতু জনগণের একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন)-এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল। এতে আরও বলা হয়, সংক্রমিত এলাকার জনসাধারণকে নিম্নলিখিত নির্দেশনাবলি কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হল।

এক. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না; দুই. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হল; তিন. সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ওপরে বর্ণিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।

করোনা সংক্রান্ত ব্রিফিং : নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় দুই হাজার ১৩৫ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ১৯ জনের স্যাম্পল। তাদের মধ্যে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন।

সব মিলিয়ে রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৬৩ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া কোনো রোগী নেই। তবে নমুনা সংগ্রহের হার বুধবারের তুলনায় ৪ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন ৩৪১ জনসহ দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭২ জন। আর সবমিলে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ জন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০ জনের বিবরণ দিতে গিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের বয়স ৭০-৮০ বছর একজনের। এছাড়া ৬১-৭০ বছর পাঁচজন, ৫১-৬০ বছর তিনজন ও ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন। ১০ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন। তিনজন নারী; ঢাকার ছয়জন এবং ঢাকার বাইরের চারজন।

করোনায় সচেতনতার বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত সাবান-পানি দিয়ে হাত-ধোয়া, কুসুম গরম পানি পান করা, আদা চা, গরম স্যুপ পান করা এবং নাক-মুখে গরম পানির ভাব দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সারা দেশের অসংখ্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধ শিল্প খাতে নিয়োজিত ফার্মাসিস্টসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা করোনা প্রতিরোধে কাজ করছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বিফ্রিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন আইসোলেশনে গেছেন। এ নিয়ে মোট আইসোলেশনে আছেন ৪৬১ জন। এর মধ্যে একদিনে ৯ জন ছাড়া পেয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ৪৭১ জনকে ছাড়া হয়েছে। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, মোট আইসোলেশন শয্যা আছে ৬ হাজার ৯৭৭টি।

ঢাকা মহানগরীতে এক হাজার ৫৫০ ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৪২৭টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ১৯২টি। ডায়ালাইসিস ইউনিট ৪০টি। সারা দেশে ৬৪ জেলায় কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৮৮টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিন করা যাবে ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন চার হাজার ৪৯৯ জন। এ পর্যন্ত আছেন ৯৯ হাজার ২০৪ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গত ২৪ ঘণ্টায় গেছেন ৭১৫ জন। সব মিলিয়ে তিন হাজার ৮৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৪ জনকে।

আর এখন পর্যন্ত মোট এক লাখ তিন হাজার ৭৯ জনকে নেয়া হয়েছে কোয়ারেন্টিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন নয় হাজার ২৫ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৭০৫ জন।

গত ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস ছড়ায়। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

৪৫ জেলায় ছড়িয়েছে : বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৫টিতেই ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মানুষ পাওয়া গেছে রাজধানী ঢাকায়। এরপরই আক্রান্ত মানুষ বেশি রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে। বৃহস্পতিবার নতুন করে চিহ্নিত হয়েছে শেরপুর।

ওই জেলায় ২ জন পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিহ্নিত ৪৫ জেলার কোনো কোনোটিতে সর্বনিু ১ জন রোগী আছে। এসব জেলার মধ্যে রোগীর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ স্থানে আছে নরসিংদী। জেলাটিতে পাওয়া গেছে ৪৩ জন। পরের স্থানেই আছে চট্টগ্রাম।

ওই জেলায় এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ৩৬ জন। সর্বোচ্চ সংখ্যার বিচারে এরপর আক্রান্তের দিক থেকে মুন্সীগঞ্জে ২৬ জন, মাদারীপুরে ২৩ জন, কিশোরগঞ্জে ২২ জন, গোপালগঞ্জে ১৭ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন, গাইবান্ধায় ১৩, জামালপুর ও বরিশালে ১২ জন করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন, ময়মনসিংহে ৯ জন, দিনাজপুরে ৮ জন, চাঁদপুর ও রাজবাড়ীতে ৭ জন করে এবং নীলফামারীতে ৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

লকডাউন : ৬৪ জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৮ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ৮ উপজেলাতেও লকডাউন চলছে। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল লকডাউন করা হয় নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা। এছাড়া ৮ এপ্রিল নরসিংদী, জামালপুর ও কক্সবাজার; ৯ এপ্রিল চাঁদপুর; ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা, নোয়াখালী ও কুমিল্লা; ১১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাজবাড়ী ও গাজীপুর; ১২ এপ্রিল বরিশাল, লক্ষ্মীপুর ও সুনামগঞ্জ; ১৩ এপ্রিল নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার; ১৪ এপ্রিল গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, ময়মনসিংহ; ১৫ এপ্রিল শরীয়তপুর, নওগাঁ, দিনাজপুর, শেরপুর এবং বৃহস্পতিবার মাদারীপুর ও জয়পুরহাট জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

উপজেলার মধ্যে পটুয়াখালীর দুমকি, মাদারীপুরের শিবচর, বরগুনার আমতলী, ঢাকার সাভার, টাঙ্গাইলের বাসাইল ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়াও লকডাউন করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বগুড়ার আদমদীঘি ও ঝালকাঠি সদর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

যুগান্তর ব্যুরো, স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

শেরপুর : শেরপুর জেলায় নয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় বুধবার রাতে শেরপুর জেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) করেছে জেলা প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

টেকেরহাট (মাদারীপুর) : মাদারীপুর জেলাকে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

রংপুর : রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চার নম্বর ইউনিটে এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপরই ওই ওয়ার্ডের দুই চিকিৎসক ও ৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

বগুড়া : বগুড়ার আদমদীঘিতে ঢাকায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবল (২৯) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ঝালকাঠি : সদর উপজেলাকে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক জোহর আলী এ ঘোষণা দেন।

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন ও নেওয়াশী ইউনিয়নে দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে প্রথমবারের মতো দু’জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত (পজিটিভ) হয়েছে। এদের একজনের বয়স ২২ ও অপরজনের বয়স ৪৭ বছর। এরা জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামের একই পরিবারের সদস্য।

সম্প্রতি এ দু’জন নারায়ণগঞ্জ থেকে কালাইয়ে নিজ গ্রামে ফিরে এলে তাদের দু’জনকে নিজ বাড়িতে ‘সেল্ফ হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছিল।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/298875