১৬ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:৫৫

ডা: মঈনকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান জামায়াত আমিরের

ডা: মঈন উদ্দিনকে জাতীয় বীর ঘোষণা এবং তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মঈন উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে গতকাল এক শোকবাণীতে ডা: শফিক বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার কারণে তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

জামায়াতের আমির বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমে তিনি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবার ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। জাতি তাকে করোনা যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করবে।

ডা: মঈন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম করোনা যোদ্ধা যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিলেন।

ডা: শফিকুর রহমান বলেন, তিনি গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলেও যথাসময়ে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি এবং সরকারের পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি।

তিনি সিলেটের একজন জনপ্রিয় ডাক্তার ছিলেন যাকে সবাই মানবিক ডাক্তার বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। মানবতার সেবায় তিনি সদা তৎপর ছিলেন। আমি মহান আল্লাহর নিকট আন্তরিকভাবে দোয়া করছি তিনি যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। তার জীবনের সব নেক আমল কবুল করেন। তিনি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এ দিকে অপর এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট চিকিৎসক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের বলেন, ডা: মঈন উদ্দিন বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসক, যিনি করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাকে করোনাযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ডা: মঈন চিকিৎসাসেবায় নিজের জীবন দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা এ পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তার পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।
ওএমএস বন্ধের প্রতিবাদ

চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে স্বল্প মূল্যে চাল বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৪ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ফলে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। মানুষ কর্মক্ষেত্রে যেতে পারছে না। ফলে মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মানুষের কষ্টের মুহূর্তে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি ঘোষণা করে সরকার। যাদের ওপর এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল, তাদের ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে চাল বিতরণের কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দশ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া অমানবিক এবং জনগণের সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।

জাতির দুর্যোগকালে যারা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় তারা মানবতার শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চাল বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করে সরকার অমানবিক কাজ করেছে। আমরা সরকারের এ ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ বিজ্ঞপ্তি

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/495929