৪ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১২:৪৩

স্বপ্নের সব প্রকল্পেই গলদ

সমীক্ষা ছাড়াই হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে চট্টগ্রামে

সমীক্ষা ছাড়াই চট্টগ্রামে হাতে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প। মাঝপথে এসে হোঁচট খাচ্ছে স্বপ্নের এসব প্রকল্প। ফলে সেগুলো শেষ হচ্ছে না নির্ধারিত সময়ে। পরিকল্পনার ফাঁদে ও ফাঁকে নানা দুর্নীতি-অনিয়ম এবং লুটপাট চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকল্পে। তাই কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি প্রকল্পে ৯ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও করা হয়নি কোনো সমীক্ষা। কথা ছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় এ টানেল নির্মাণের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। কিন্তু তা পিছিয়েছে প্রায় দেড় বছর। কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে মাঝপথে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু এ প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে মাঝপথে।

দুর্নীতির পরিকল্পনাও হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের শুরুতেই মিলেছে সম্ভাব্য দুর্নীতির প্রমাণ। কারণ সেটির পরিকল্পনায় বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার টাকা; এ ছাড়া মাস্ক ও গাউনের দাম ধরা হয়েছিল যথাক্রমে ৮৪ হাজার ও ৪৯ হাজার টাকা। এমন প্রেক্ষাপটে যথাযথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে ৬০ লাখ নগরবাসী এগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবে না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, 'একটি প্রকল্পের সুফল যথাযথভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে আগাগোড়া এটিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। প্রকল্প নেওয়ার আগেই যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে শেষ করতে হবে সমীক্ষা। প্রকল্পকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মনিটর করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে সুফল মিলবে না।'

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেন, 'চট্টগ্রামে এমন অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো সমীক্ষা ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কোনো সমীক্ষা হয়নি। আবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসের নকশা পরিবর্তন হয়েছে মাঝপথে। বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম অস্বাভাবিক রকম বাড়িয়ে ধরায় শুরুতেই কথা উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প নিয়ে।' প্রসঙ্গত, সিডিএ, ওয়াসা, রেলওয়ে, গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সেবাধর্মী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এসব প্রকল্প।

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প :চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির মূল্যের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অস্বাভাবিক দাম প্রস্তাব দেখে এরই মধ্যে এটি ফেরত পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কিন্তু স্বপ্নের একটি প্রকল্পের শুরুতেই এমন দুর্নীতির নকশা হতাশ করেছে অনেককে। এ প্রস্তাবনায় সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। যার সম্ভাব্য বাজারমূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। বালিশের দাম ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা- যেটির বাজারমূল্য ৭৫০ থেকে ২০০০ টাকা। বাজারমূল্য ২০-২৫ টাকা হলেও স্টেরাইল হ্যান্ড গল্গাভস ৩৫ হাজার টাকা এবং কটন টাওয়েলের দাম ২৫০-৫০০ টাকা হলেও পাঁচ হাজার ৮৮০ টাকা দেখানো হয়েছে। ১৫ থেকে ৫০ টাকার ৫ এমএল সাইজের টেস্টটিউব-গল্গাস মেডের মূল্য দেখানো হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা! এছাড়া ২৫০-৫০০ টাকা দামের থ্রিপিন ফ্লাট ও রাউন্ড প্লাগযুক্ত মাল্টিপ্লাগ উইথ এক্সটেনশন কডের দাম ছয় হাজার ৩০০ টাকা, ৫০০-৭০০ টাকা রাবার ক্লথের দাম ১০ হাজার টাকা, এক থেকে দুই হাজার টাকার হোয়াইট গাউন ৪৯ হাজার টাকা, ৫০ টাকার ডিসপোজাল শু কভারের দাম সাড়ে ১৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশন মন্তব্য করেছে, 'সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কেনাকাটা অংশে ১২টি আইটেমের প্রস্তাবিত মূল্যের সঙ্গে আনুমানিক বাজারমূল্যেরও ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।'

মাঝপথে নকশা বদল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের :চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে শহরে আসতে স্বাভাবিকভাবে লাগার কথা ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু যানজটে পড়লে দুই থেকে তিন ঘণ্টাও লেগে যায়। এ দুর্ভোগ থেকে বিমানযাত্রীসহ সব নাগরিককে মুক্ত করতে বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই সিডিএ এ প্রকল্প নেওয়ার কারণে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হতে না হতেই পরিবর্তন করতে হচ্ছে এর নকশা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আপত্তির মুখে নগরের বারিকবিল্ডিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত সড়কের ডান পাশে ৩০ ফুট করে ভূমি অধিগ্রহণ করে বিকল্প পথে এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নকশা করতে হচ্ছে সিডিএকে। বিকল্প নকশার কারণে ভূমি অধিগ্রহণও করতে হবে নতুন করে। তাই নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে না এ প্রকল্প।

৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, 'প্রকল্পের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাঠগড় পর্যন্ত ৬০টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কলামও হয়ে গেছে। এখন শুরু হয়েছে গার্ডারের কাজ। পাশাপাশি সমুদ্র সৈকত এলাকায় পাইলিংও শুরু হয়েছে। বন্দরের আপত্তির কারণে কিছু অংশের নকশা পরিবর্তন করে এখন নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এ জন্য হয়তো কিছুটা পেছাবে প্রকল্প শেষের সময়সীমা।'

নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না টানেলও : কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণের কাজও শেষ হচ্ছে না নির্ধারিত সময়ে। চলতি বছরের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন এটি পেছাবে অন্তত দেড় বছর। তাই ২০২২ সালের আগে টানেলের সুফল পাচ্ছে না চট্টগ্রামবাসী। তিন দশমিক ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেল নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এই টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)। এর মধ্যে চীন অর্থায়ন করছে চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। নদীর দুই পাড়ে থাকা দুটি শহরকে এক সুতোয় বাঁধার কথা রয়েছে এ টানেলের। দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের সংযোগ স্থাপন করবে এটি।

সমীক্ষা ছাড়াই জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন প্রকল্প :প্রকল্প নেওয়ার আগেই সমীক্ষা না করায় ও সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জলাবদ্ধতা নিরসনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রকল্প। ৯ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার এ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। চউক বা সিডিএ বাস্তবায়ন করছে ৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প। আর পাউবো দায়িত্ব পেয়েছে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ভার। এসব প্রকল্পে নতুন ও শাখা খাল খননে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এমনকি যে সংস্থা একসময় নতুন খাল খননের সুপারিশ করেছিল, সেই সিডিএ কর্তৃপক্ষও কোনো বরাদ্দ রাখেনি। আবার প্রকল্প নেওয়ার আগে কোনো সমীক্ষাও করেনি সিডিএ। এরই মধ্যে পিছিয়েছে প্রকল্প শেষ হওয়ার সময়সীমা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর প্রকল্পটি ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চউকের প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দীন বলেন, '২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং দেয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে এ কার্যক্রমে বাধা পড়ে। খালের পাড়ে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও বেগ পেতে হচ্ছে। তাই ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ প্রকল্প আরেকটু পেছাবে।'

পয়ঃনিস্কাশন প্রকল্প এগোচ্ছে না :৬০ লাখ বাসিন্দা থাকলেও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। ফলে প্রতিদিন প্রায় ২৯ কোটি লিটার পয়ঃবর্জ্য বিভিন্ন খাল-নালা হয়ে গিয়ে পড়ে হালদা ও কর্ণফুলীতে। দুই নদী হয়ে পয়ঃবর্জ্য যাচ্ছে সাগরে। ফলে নগরীর পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। দূষিত হচ্ছে সাগরও। এই দূষণরোধে তাই নতুন প্রকল্প নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় চট্টগ্রাম ওয়াসাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা এ প্রকল্পও চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে তিন হাজার ৮০৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরে তারা প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছে। এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ওয়াসার পরিকল্পনা রয়েছে ২০ লাখ নগরবাসীর পয়ঃবর্জ্য স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনার।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, 'চট্টগ্রাম নগরীতে কোনো পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। চট্টগ্রাম নগরীর পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনের জন্য ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায় গত বছরের শেষের দিকে একনেকে অনুমোদন পায়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালে। এর প্রধান উদ্দেশ্য স্যানিটেশন ফেসিলিটিজ নির্মাণের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।'

মাঝপথে বন্ধ ক্যাপিটাল ড্রেজিং : কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে নেওয়া ২২৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মাঝপথে বন্ধ করতে হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। মাঝপথে ঠিকাদার বিদেশ পালিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় এ প্রকল্প। এরপর একই প্রকল্প ফের শুরু হয় নতুন নামে। এবার ব্যয় ধরা হয় ২৪২ কোটি টাকা। কিন্তু যথাযথভাবে সমীক্ষা না করায় এটিও মাঝপথে থমকে গেছে। গত বছর ড্রেজিংয়ের নতুন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও অর্ধেক কাজও শেষ হয়নি।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী নদীর নিচে ধারণার চেয়ে অতিরিক্ত পলিথিন পাচ্ছেন তারা। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাদের।

https://samakal.com/whole-country/article/20018663/