১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:২৫

সংস্কারের নামে কুসংস্কারে ভরে যাচ্ছে ব্যাংক খাত

মুহাম্মাদ আখতারুজ্জামান: যারা ঋণখেলাপি তারা সমাজে, রাজনীতিতে, ব্যবসায় শক্তিশালী এবং ওই পাঁচ ভাগ ধনীর মধ্যে। তারাই সরকারকে প্রভাবিত করছে। এ পশ্চাৎগামিতা ব্যাংক খাতের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মোটামুটি পোষ্য করে রাখা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বেআইনিভাবে এ সার্কুলার জারি করেছে। কারণ, আইনত অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারে না। মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় শীর্ষ খেলাপিদের পক্ষ নিয়ে এমন সার্কুলার জারি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সরকার ধনিক শ্রেণির কাছে পণবন্দী

হয়ে পড়েছে। বাজেটে ব্যাংকের সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এ সংস্কার যদি উল্লেখিত দুই সার্কুলারের মতো হয় তাহলে ব্যাংক খাতে আরও সংকট বাড়বে। ব্যাংক খাত সংস্কারের নামে কুসংস্কারে ভরে যাবে।

জানা গেছে, ১৯৭২ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা খেলাপি আছেন, মাত্র ২ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য রিসিডিউলের সুযোগ তৈরি করে তাদের জন্য সার্কুলার জারি করা হয়েছে। অবশ্য সার্কুলারটি মাননীয় হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। উচ্চ আদালত স্থগিত করে রেখেছেন বটে, কিন্তু শুনানির পর কী হবে সেটাই দেখার বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো সমন্বয় নেই। অর্থ মন্ত্রণালয় যা ইচ্ছা তা-ই করতে চাইছে। যদি ওই সার্কুলার চিরতরে বাতিল করা হয় তাহলে হয়তো ব্যাংকগুলো বেঁচে যাবে। কেননা এ নিয়ম বাংলাদেশে কখনই ছিল না। অদ্ভূত নিয়ম। এটা অবিশ্বাস্য। এটা চালু হলে ব্যাংকের সর্বনাশ হবে।

এদিকে বাজেটের বিশাল ঘাটতি অর্থায়নে সরকারের পরিকল্পনা দেশের ব্যাংক খাত নিয়ে দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র তারল্যসংকটে আছে বেশির ভাগ ব্যাংক। আর এ সময়ে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা পেশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট পেশ করেছেন, তাতে ব্যাংক খাতের সংকট কাটাতে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগের কথা নেই। বরং আছে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা এবং শিল্পঋণে এক অঙ্কের সুদ হার বাস্তবায়নের ঘোষণা। এ দুই কারণে তারল্যসংকট আরও উসকে যাবে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। এমনিতেই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অনেক কমে ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে নেমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে অর্থ বেশি ধার করলে বেসরকারি খাত বঞ্চিত হবে। কেননা, সব টাকা সরকার নিয়ে গেলে বেসরকারি খাতের জন্য আর অবশিষ্ট থাকবে না। সরকারের জন্য দ্বিতীয় পথ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করা। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে দিতে হবে। এতে বাড়বে মূল্যস্ফীতি।

বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন আইন সংশোধন ও সংস্কারের কথাও বলেছেন। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি, আর কারা প্রকৃত খেলাপি, এটা বড় প্রশ্ন হিসেবে আসবে।

এ ব্যাপারে বিশিষ্ট ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাংক খাত অন্ধকারে ডুবে গেছে। তবুও একটু সজাগ থাকার সুযোগ ছিল। ব্যাংকিং খাতের জন্য দুই সার্কুলার বাস্তবায়ন হলে সংকট স্থায়ী হবে। কারণ তখন ব্যাংক সজাগও থাকতে পারবে না। রোগ প্রকাশ পেলে প্রতীকার মেলে। কিন্তু গোপন রোগের কী প্রতিকার? ব্যাংক এখন গোপন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগ নিরাময়ের উপায় থাকবে না। ব্যাংকগুলো অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় পড়বে অচিরেই। বাংলাদেশ ব্যাংককে মোটামুটি পোষ্য করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি, অর্থ মন্ত্রণালয় বেআইনিভাবে এ সার্কুলার জারি করেছে। কারণ, আইনত অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিতে পারে না। মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় শীর্ষ খেলাপিদের পক্ষ নিয়ে এমন সার্কুলার জারি করেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ধনী লোকের বৃদ্ধির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সেটা আমেরিকা ও চীন থেকেও বেশি। অর্থাৎ ধনী দেশগুলোকেও আমরা হার মানিয়েছি। তার মানে, আমরা এখন মারাত্মকভাবে ধনতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি। এমন ধনতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার মানেই হচ্ছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তের নিঃস্ব হওয়া। অর্থাৎ গরিব মানুষের কাছে আর টাকা থাকবে না, আয়ের পথও থাকবে না। সুতরাং যার কাছে টাকাই নেই, তার কাছ থেকে কর আদায় করে বড় ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় না।

বাংলাদেশে টাকার বড় অংশ শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের হাতে। বাকি ৯৫ ভাগ মানুষের কাছে তেমন টাকা নেই। অথচ এ ৯৫ ভাগ মানুষের কাছ থেকেই সরকার ট্যাক্স আদায় করে। ধনী এ পাঁচ ভাগের কাছ থেকে তেমন ট্যাক্স আদায় করা সম্ভব হয় না। এ পাঁচ ভাগ মানুষের কাছ থেকে সঠিক উপায়ে কর আদায় করা গেলে ঘাটতি বাজেট পূরণ করা সম্ভব।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আমরা অতীতে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে ঠিক মতো কর আদায় করতে দেখিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, ধনীদের বেলায় কঠোর হওয়ার মতো শক্তি সরকার রাখে কি না? কারণ আমরা দেখেছি, ধনীরা এতই শক্তিশালী যে, তারা সরকারকেই বরং প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন। যারা ঋণখেলাপি তারা সমাজে, রাজনীতিতে, ব্যবসায় শক্তিশালী এবং ওই পাঁচ ভাগ ধনীর মধ্যে। তারাই সরকারকে প্রভাবিত করছে। এ পশ্চাৎগামিতা ব্যাংক খাতের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ না হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সুশাসনের অভাব। মানুষ যখন দেখে কোনো নিয়ম-কানুন নেই, আইনের শাসন নেই, তখন নিজের টাকা বাইরে আনতে ভয় পায়। তবে আমি মনে করি, বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি যা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের নয়। উন্নয়নের সুবিধা শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের, যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন না। তারা সুযোগ পেলেই বিদেশে অর্থপাচার করে আসছেন। গত ১০ বছরে ছয় লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে খবর এলো। এর বাইরেও পাচার হচ্ছে। পাচার হয়েছে আগেও। সাধারণ মানুষ কিন্তু অর্থপাচারের ক্ষমতা রাখেন না। তারা বলেন, বৈষম্য কমাতে হলে রাষ্ট্রের আয় বাড়াতে হবে। সেটা করতে হবে ধনীদের কাছ থেকে কর আদায় করে। কল্যাণ অর্থনীতির কথা তা-ই বলে। স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলোতে আমরা এমন অর্থনীতি দেখতে পাই। ধনীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে সমতা তৈরি করা। জার্মানিতেও এ নীতি আছে। অথচ আমরা কল্যাণ অর্থনীতি থেকে ধনতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি।

এদিকে বাজেটের আগেই এ সেক্টরে দুটি সার্কুলার ইস্যু হয়েছে। আর এটা অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞার পরিবর্তন। আমরা নিয়ম করেছিলাম, তিন মাস যদি কোনো খেলাপি থাকে তাহলে তাকে খেলাপি ঋণ বলা হবে। এটিই বিশ্বের নিয়ম। হঠাৎ করে নিয়ম পরিবর্তন করে বলা হলো, তিন মাস নয়, নয় মাস যদি খেলাপি থাকে তাহলে সেটা খেলাপি ঋণ হবে। অথচ আজ থেকে ১৫ বছর আগের নিয়ম ছিল এটি। আমরা নিয়ম পরিবর্তন করে তিন মাস করেছিলাম। এখন ফের পেছনে নিয়ে যাওয়া হলো। সার্কুলার জারি হয়েছে এবং তা প্রতিপালনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এতে করে প্রকৃত খেলাপিরা ছাড় পেয়ে যাবেন। কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে যাবে ঠিক, কিন্তু প্রকৃত অর্থে খেলাপি আরও বাড়বে। এটি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ রাষ্ট্রের সবকিছুতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। আগে বাজেট নিয়ে মানুষের মাঝে হৈ-চৈ পড়ে যেত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নানা আলোচনা হতো। এখন বলতে পারেন ‘টুঁ’ শব্দটাও নেই। তার মানে, রাষ্ট্রীয় বাজেটের প্রক্রিয়াটা এখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে না পারলে, রাষ্ট্র জনগণের থাকে না।

এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, বাজেটে জিডিপির অনুপাতে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে। এমনিতেই ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই। সুদহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এখন যদি সরকারও ব্যাংক খাত থেকে টাকা নেয়, তাহলে বড় চাপ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কেউ নতুন করে বিনিয়োগে সাহস করবেন না। যাঁরা পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরাও অপেক্ষা করবেন।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, তিন বছর আগে যখন ব্যাংকে টাকা ছিল, তখন সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে টাকা তুলেছে। তবে এখন ভুল সময়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কারণ, ব্যাংকে টাকা নেই, ধার করলে তারল্যসংকট আরও ঘনীভূত হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা নেয়া মানে মূল্যস্ফীতি বাড়ার ঝুঁকি থাকে। আগুনে তেল দেয়ার মতো এটা বড়ই বিপজ্জনক পথ। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা থাকলে এতে সমস্যা হতো না।

তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতে যে সংকট চলছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা বাজেটে নেই। খাতটি ঠিক করতে ঋণখেলাপিদের ধরতে হবে, আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ডলারের দাম ধরে না রেখে বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে, এতেও তারল্যসংকট কিছুটা কমবে। বড় প্রশ্ন হলো, যেখানে অর্থনীতি এত ভালো, কৃষি উৎপাদন ভালো, সেখানে আমানতের প্রবৃদ্ধি কেন কমছে।

এদিকে টাকার সংকটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেই দৈনন্দিন চাহিদা মেটাচ্ছে অনেক বেসরকারি ব্যাংক। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ছাড়া হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংকের হাতে বিনিয়োগ করার মতো টাকা আছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজেট পেশের পরে নতুন করে আমানতের পেছনে ছুটতে শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। তারল্য সংগ্রহে অনেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। এতে ঋণের সুদহার প্রতিনিয়ত বাড়ছেই, যা ১৬-১৭ শতাংশ পর্যন্ত ঠেকেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মানির যে লক্ষ্য ধরেছিল, সরকার টাকা ধার করায় তা লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। চলতি জুন পর্যন্ত রিজার্ভ মানির (বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বৈদেশিক সম্পদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদের সমষ্টি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধরেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, গত এপ্রিলেই তা ৬ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে গত এপ্রিলে ব্রড মানির (জনগণের হাতে থাকা নোট, তলবি ও মেয়াদি আমানতের সমষ্টি) প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি জুন পর্যন্ত যার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১২ শতাংশ।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, এমনিতেই ব্যাংকে টাকা নেই। বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিও প্রতি মাসে কমছে। আবার যদি সরকার ব্যাংক থেকে টাকা নেয়, তাহলে ব্যাংকের ওপর বড় চাপ তৈরি হবে।

https://www.dailysangram.com/post/379520