১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ১০:১০

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

সরকারের আত্মঘাতী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের নামে ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকার দেশের শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় ও দেশীয় ঐতিহ্য বিরোধী ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে। নৈতিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় চেতনা বিলোপ করে সেখানে শিশু শ্রেণি থেকে নাচ-গান ও শিল্পের নামে অশ্লীলতা শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষার মাধ্যমেই জাতির ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে ওঠে। অথচ বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে জাতীয় আদর্শ ও জাতিসত্তা বিরোধী শিক্ষানীতির অবতারণা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার নীতি-আদর্শহীন ও চরিত্র বিধ্বংসী শিক্ষা কারিকুলাম জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমান এই শিক্ষা কারিকুলাম কোনো অবস্থাতেই মেনে নিবে না। দেশের শিক্ষা কারিকুলামে ট্রান্সজেন্ডারের মতো সর্বনাশী এবং যৌন বিকৃতিসম্পন্ন বিষয়াদি যুক্ত করে সরকার মূলত মুসলিম জাতিসত্তার স্বকীয়তা নির্মূল করার এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত লিঙ্গ বিকৃতির মতবাদ আমাদের সন্তানদেরকে মূলত সমকামিতার মত অনৈতিকতার দিকে ঠেলে দিবে। এসব অপ্রয়োজনীয় ও আপত্তিকর বিষয়াদি পাঠ করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নৈতিকতা বিবর্জিত নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে, যা জাতির জন্য অশনি সংকেত।

তিনি বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনৈতিক শিক্ষা দিয়ে তাদের চরিত্র ধ্বংস করার যে চক্রান্ত করা হয়েছে, তা মেনে নেয়া যায় না। এসব শিরক-কুফরি, অনৈতিক এবং চরিত্র বিধ্বংসী বিষয়াদি শিক্ষা কারিকুলাম থেকে বাদ দিয়ে জাতিসত্তা, নৈতিক আদর্শ ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা ইসলামী মূল্যবোধ বিধ্বংসী কোনো শিক্ষানীতি মেনে নিবে না। আমি দেশের আলেম-ওলামা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সমাজ, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকসহ দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে সরকারের এসব আত্মঘাতী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”