২৩ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৩১

নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় আসিফ মাহতাবকে অভিনন্দন

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ফ্যাসিস্ট একদলীয় সরকারের নীতি-আদর্শহীন ও চরিত্র ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলামের কঠোর সমালোচনা করার কারণে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকুরীচ্যুত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২৩ জানুয়ারি প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,

“ফ্যাসিস্ট একদলীয় সরকার নীতি-আদর্শহীন ও চরিত্র ধ্বংসকারী শিক্ষা কারিকুলাম জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমান এই শিক্ষা কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করেছে। নৈতিকতা বিবর্জিত ও চরিত্র বিধ্বংসী শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে দেশের শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে নৈতিকতা বিবর্জিত কারিকুলাম সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে। সরকার তার তোয়াক্কা না করে জাতির ঘাড়ে একটি অনৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। এরই প্রেক্ষাপটে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব আসিফ মাহতাব একজন সত্যিকারের আদর্শবান শিক্ষকের মতই ভূমিকা পালন করেছেন। জনাব আসিফ তার বিবেকের তাড়নায় সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। এটা বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি। তার এই দৃঢ় ভূমিকার কারণে আমি তাঁকে আন্তরিকভাবে মুবারকবাদ জানাচ্ছি। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকুরীচ্যূত করে মূলত জাতিসত্তা বিরোধী শিক্ষা কারিকুলামের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আমি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনাব আসিফ মাহতাব যে সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দেশের শিক্ষক সমাজ, আলেম-ওলামা, ছাত্র-অভিভাবক ও আপামর জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি আসিফ মাহতাবের ব্যক্তিগত কোনো ইস্যু নয়। এটি একটি জাতীয় ইস্যু। জাতির ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনৈতিক শিক্ষা দিয়ে তাদের চরিত্র ধ্বংস করে দেয়া হবে, আর দেশের ইসলাম প্রিয় জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখবে তা মনে করলে ভুল করা হবে।

সরকারের আত্মঘাতি শিক্ষানীতি রুখে দাঁড়াবার জন্য আমি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে জনাব আসিফ মাহতাবকে চাকুরীচ্যুত করার অন্যায় আদেশ প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাঁকে পুনর্বহাল করার জন্য আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”