১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:৪২

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যেন ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি অর্থাৎ মিটিং-মিছিল আয়োজনের অনুমতি দেয়া না হয়। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের এটি একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের সংবিধান সকল নাগরিককে মিটিং-মিছিল ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। এই অধিকার কোনো সময়ের জন্য স্থগিত বা খর্ব করার কোনো এখতিয়ার কাউকে দেয়নি। সংবিধান অনুযায়ী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে তখন সংবিধানের কয়েকটি ধারা স্থগিত হয়ে যায়। আমাদের জানামতে বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়নি। নির্বাচন কমিশন এই ধরনের আবদার করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এর কোনো নজির নেই। আমরা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের সংবিধান ও গণতন্ত্র বিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগের ভোটারবিহীন একতরফা ও ভাগ-বাটোয়ারা নির্বাচনের অপচেষ্টাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই বিতর্কিত ও গণধিকৃত নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধীদলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে নানা ছক কষছে এবং সেই আলোকে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে গণবিরোধী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিয়েছে। মূলত আওয়ামীলীগকে বিনা ভোটে আবারো ক্ষমতায় বসানোর জন্যই এ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞায় আবারো প্রমাণিত হল, তারা পক্ষপাতদুষ্ট।

তিনি বলেন, কমিশনের এই দুরভিসন্ধি একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও অসাংবিধানিক। দেশবাসী আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের এই অন্যায় সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। গণতন্ত্রকে সংকুচিত করার এই অশুভ পাঁয়তারা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে। জামায়াতসহ বিরোধীদলের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। এই অধিকারে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। আমর আশা করছি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে কমিশন সরে আসবে।”