৭ দিনের যুদ্ধ বিরতির পর গত ১ ডিসেম্বর থেকে গাজায় পুনরায় দখলদার ইসরাইলিদের একটানা স্থল ও বিমান হামলায় প্রায় সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি মুসলমান নিহত এবং হাজার হাজার লোক আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৬ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,“আন্তর্জাতিক দস্যু অবৈধ দখলদার ইসরাইল সকল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি-নীতি লংঘন করে ফিলিস্তিনে অব্যাহতভাবে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লংঘন করেই যাচ্ছে।
আবার গাজার হাসপাতালগুলো ফিলিস্তিনিদের লাশে ভরে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে শুধু লাশ আর লাশ। খুনি ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধের কোনো নিয়ম-নীতিই মানছে না। তারা বোমা মেরে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত দুই মাসে খুনি ইসরাইলি বাহিনী ১৬ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। হাজার হাজার বাস্তুহারা ফিলিস্তিনি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনী এসব আশ্রয় কেন্দ্রেও নির্বিচারে বোমা মেরে মানবতা ভূলুণ্ঠিত করে ফিলিস্তিনিদের পৈশাচিকভাবে হত্যা করছে। ইসরাইলি বর্বর দস্যুদের এসব গণহত্যার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই। বোমা ফেলে ও বুলডোজার দিয়ে হাজার হাজার বসতভিটা মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। গাজায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-সামগ্রী, ঔষধ, খাবার, বিশুদ্ধ পানি কিছুই ঢুকতে দিচ্ছে না। ফিলিস্তিনবাসী অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় গাজার হাজার হাজার মানুষ ধুকে ধুকে মরছে। আর মানবতার দাবিদার বিশ্ববাসী চেয়ে চেয়ে দেখছে।
তিনি আরও বলেন, খুনি ইসরাইলি বাহিনী বিশ্বজনমত এমনকি জাতিসংঘের কথাও মানছে না। যুদ্ধ বন্ধের জাতিসংঘের আহ্বান উপেক্ষা করে তারা অব্যাহতভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করছে। জাতিসংঘের নেতৃত্বে ইসরাইলিদের গণহত্যার তদন্ত করে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলিদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার করার জন্য আমি শান্তিকামী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সামরিক সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে যুদ্ধ বিরতি পালনে দখলদার ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য আমি জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন এবং সকল আরব মুসলিম রাষ্ট্রসহ শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”