২৮ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:৩৪

তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৮ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতা লিপ্সায় আওয়ামী লীগ এতই অন্ধ যে, তারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কিছু নেই। দেশটাকে আজ জাহান্নামে পরিণত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এইসব ফ্যাসিবাদী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। বিনা ভোটের সরকার আবারো বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে খালি মাঠে গোল দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। নেতাকর্মীদের দ্রুত সাজা দেয়ার জন্য পুরনো রাজনৈতিক মামলাগুলো সচল করা হয়েছে। কোনো কোনো মামলায় আসামীদের অনুপস্থিতিতে চার্জ গ্রহণ ও শুনানি না করেই প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই সরকার জামায়াতে ইসলামী ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। বাড়িতে নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাবা-চাচা, ভাই-ভাতিজা এমনকি মহিলাদের পর্যন্ত গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্রের লেবাসে কর্তৃত্ববাদী সরকার জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে দমিয়ে রাখা। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসেন ও বগুড়া শহর শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি মাস্টার আনোয়ার হোসেনসহ সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের হয়রানি করছে। আমি জালিম সরকারের এইসব জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”