২৩ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৫২

১৯ ও ২০ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করায় দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন

সরকারের গ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় সংগ্রামী দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এবং সরকারের গ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৩ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলায় ন্যায়ভ্রষ্ট রায় ও একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে ১৯ ও ২০ নভেম্বর জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সফল করায় আমি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগ্রামী দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।

তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত আপিল খারিজের মাধ্যমে জামায়াতকে নির্বাচনে দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ২০ ভাগ ভোটারের ভোট দেয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, যা গণতন্ত্র বিকাশের পথে বিরাট বাধা।

তিনি আরও বলে, নির্বাচন কমিশন একতরফা তফলিস ঘোষণা করে শাসকদলের পক্ষাবলম্বন করেছে। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও তাদের ঘোষিত তফসিল উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ। জাতি কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। কমিশনের উচিত জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নতুন তফসিল ঘোষণা করা।

তিনি বলেন, জামায়াতসহ বিরোধীদলের ডাকা চলমান অবরোধ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তার দায়ভার বিরোধী দলের উপর চাপাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জামায়াতে ইসলামীর ৫৩ জন নেতাকর্মীকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা থানা থেকে জামায়াতে ইসলামীর ৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম শরীফ এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় তার দুই হাত হারিয়েছেন। তিনি বর্তমানে একাকী কোনো কাজই করতে পারেন না। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি তাঁকে জামিন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমন একজন পঙ্গু লোককে গ্রেফতার এবং তৎপর জামিন না দেয়া খুবই অন্যায়, অনভিপ্রেত এবং অমানবিক। গত ১৬ অক্টোবর নলডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জামায়াত নেতা মাওলানা আবু নওশাদ নোমানীকে হেলমেটধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে ডান হাত ভেঙে দেয় এবং ২৫ অক্টোবর রাতে পল্লি চিকিৎসক আলাউদ্দিন নিজ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হেলমেটধারী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিকভাবে হামলা চালিয়ে তার দুই হাতই ভেঙে দেয়। সরকার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে উল্টো তাদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি এইসব জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।