১৩ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১১:০০

১২ ও ১৩ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় সংগ্রামী দেশবাসী ও জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে অভিনন্দন

তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় কমিশনকেই নিতে হবে

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

১২ ও ১৩ নভেম্বর টানা ২ দিনের অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সফল করায় সংগ্রামী দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এবং সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গ্রেফতার-হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১৩ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও আলেম-ওলামার মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে ১২ ও ১৩ নভেম্বর টানা ২ দিনের অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সফল করায় আমি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগ্রামী দেশবাসী ও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বিগত ১৫ বছর যাবত সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও অবিচার-অনাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বহু প্রতিবাদী কণ্ঠ সরকারের রক্তচক্ষুর শিকার হয়েছেন এবং অনেককে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আন্দোলন দমনের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তর থেকে ৮ জন নেতাকর্মীসহ গত ২৪ ঘন্টায় দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামীর ৩৯ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি ডা. কামরুল ইসলামকে নিজ চেম্বার থেকে, মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ডা. আলী নেওয়াজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার পাবনা থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এইসব জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ-এ পুলিশের পাশাপাশি লাঠি সোটা ও অস্ত্র হাতে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের দেখা গেছে। ১২ নভেম্বর ময়মনসিংহের নান্দাইলে আওয়ামী লীগের মিছিলে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছেন সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুস সালামের অনুসারীরা। ফেনী ও ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে। সরকারের গুণ্ডা বাহিনী পুলিশের সাথে একাকার হয়ে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। পুলিশ তাদের কিছুই বলছে না। উল্টো বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার করছে।

তিনি বলেন, ১২ নভেম্বর নরসিংদীর জনসভায় শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বেআইনি ও উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মত দায়িত্বশীল পদে থেকে তাঁর এ ধরনের বক্তব্য জাতি আশা করে না।

বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদলগুলো আন্দোলন করছে। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। বিরোধীদলের অনেক শীর্ষ নেতাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় কমিশনকেই নিতে হবে।”