১১ অক্টোবর ২০২৩, বুধবার, ১১:০৭

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারিসহ জামায়াত-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

চট্টগ্রাম উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক নূরুল আমিন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জনাব আলাউদ্দিন সিকদারসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১১ অক্টোবর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১১ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানায় চট্টগ্রাম উত্তর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক নূরুল আমিন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জনাব আলাউদ্দিন সিকদারসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছে। স্বৈরাচারী জালেম সরকার সারাদেশে হরহামেশাই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের শত শত নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে। আমি এইসব মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, হামলা ও মামলাবাজ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জাতির কাছে সুপরিচিত। অতীত ইতিহাস থেকে দেখা যায় আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তারা হামলা-মামলা দিয়ে বিরোধীদলকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করতে তারা সিদ্ধহস্ত। তারা বিরোধীদলকে কখনই সহ্য করতে রাজি নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত ও স্বাধীনভাবে জীবন-যাপনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। কেবল সন্দেহের বশবর্তী হয়ে দেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা উচিত নয়। এতে মানুষের অধিকার ও সম্মান উভয়ই ক্ষুন্ন হয়।

হামলা ও মামলাবাজ জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে হামলা-মামলা এবং জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে অধ্যাপক নূরুল আমিন চৌধুরী ও জনাব আলাউদ্দিন সিকদারসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”