১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৫০

দেশের জেলাসমূহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা, বাড়ি-ঘর তছনছ, মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত দেশের জেলাসমূহে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দান, হামলা, বাড়ি-ঘর তছনছ, মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ১৫ সেপ্টেম্বর নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের সকল জেলা শাখায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ১৪ তারিখ রাত থেকেই পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত থেকে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালায়, ঘরের মূল্যবান জিনিপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। স্মার্ট ফোন, কুরআন-হাদীসসহ মূল্যবান বই-পুস্তক এবং বাড়ি-ঘরের সাধারণ জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাড়িতে থাকা লোকদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং বৃদ্ধ পিতা-মাতা, মহিলা ও শিশুদের আক্রমণাত্মক ভাষায় গালিগালাজ করে মানসিক নির্যাতন করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁও সদরে কর্মসূচি পালনের শুরুতেই জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি কফিলুদ্দিনসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২১ জন নেতাকর্মীকে, ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা. শরিফুল ইসলামকে, বাঘারপাড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাসির হায়দারসহ ৪ জন নেতাকর্মীকে এবং দিনাজপুর জেলার বিরামপুর, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৬ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমরা এসব অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে দ্রুত সাজা দেয়ার জন্য সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলাসমূহ সচল করেছে। এভাবে দমন পীড়ন চালিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন করা যাবে না। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

অবিলম্বে অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”