৩০ আগস্ট ২০২৩, বুধবার, ১:২৫

আফগান জিয়ার সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই

জিয়াউর রহমানকে দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডার ও নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

রাজধানী ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে গ্রেফতারকৃত জিয়াউর রহমান ওরফে ‘আফগান জিয়াকে’ দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডার ও নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ৩০ আগস্ট নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৮ আগস্ট দুপুরে রাজধানী ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে জিয়াউর রহমান ওরফে আফগান জিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে জিয়াউর রহমান ওরফে আফগান জিয়াকে দুর্ধর্ষ জামায়াত ক্যাডার ও জামায়াত নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের জিয়াউর রহমান ওরফে আফগান জিয়ার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি কখনোও জামায়াতের ক্যাডার বা জামায়াতের নেতা ছিলেন না। প্রকাশিত খবরে তাঁকে জামায়াতের ক্যাডার ও নেতা হিসেবে উল্লেখ করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলামী দেশের সংবিধান মেনে রাজনীতি করে আসছে। জামায়াতের রাজনীতি প্রকাশ্য। দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে-গঞ্জে জামায়াতের সংগঠন ও তৎপরতা রয়েছে। জামায়াত দেশের আপামর জনতা ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কোনো জঙ্গি বা জঙ্গিবাদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর কখনো কোনো সম্পর্ক ছিল না, এখনো নেই। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী কোনো ধর্মান্ধ দল নয়। জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদানুযায়ী এদেশের জনগণের মাঝে কুরআন-হাদীসের সঠিক জ্ঞান বিতরণ করছে। জামায়াতের প্রকাশিত কোনো বই-পুস্তক, প্রবন্ধ ও লেখনীতে ধর্মান্ধতার কোনো প্রমাণ নেই।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে ঘিরে জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরাসহ দেশের কোথাও কোনো হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ কোনো নাশকতা চালায়নি। জামায়াতে ইসলামীকে জঙ্গি ও ধর্মান্ধ তকমা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল কর্তৃপক্ষসহ সকলের নিকট আহবান জানাচ্ছি।”