১৯ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ১:৪১

ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটি আয়োজিত সভায় বক্তাগণের জামায়াত সম্পর্কে অসত্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-হামিদুর রহমান আযাদ

গত ১৮ আগস্ট রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যেসব অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ ১৯ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় বক্তাগণ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যেসব বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ‘জামায়াতে ইসলামী এদেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষ হত্যা করছে, তাদের শিকড় অনেক গভীরে। তাদেরকে উপড়ে ফেলতে হবে’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তা প্রতিহিংসামূলক এবং বিদ্বেষ পরায়ণতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী কখনো মানুষ হত্যা করেনি। বরং আওয়ামীলীগই মানুষ হত্যা করেছে।

বিচারপতি (অব:) এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঘাদানিকের সভাপতি শাহারিয়ার কবির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রাহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন তা ডাহা মিথ্যা। আল্লামা সাঈদীর চরিত্র হননের হীন উদ্দেশ্যে তারা এ ধরনের নিকৃষ্ট ও কুৎসিত মন্তব্য করেছেন। তাদের এ জঘন্য মিথ্যাচারের নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই।

তাদের এসব বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের দুঃখজনক ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীসহ গোটা দেশবাসী গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। দেশবাসী অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রত্যক্ষ করেছে যে, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৪ আগস্ট রাতে ইন্তিকালের পরপরই এবং ১৫ আগস্ট ফজরের সময় পুলিশ দুঃখ ভারাক্রান্ত সমবেত জনতার ওপর অহেতুক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে এবং লাঠিচার্জ করে বহু লোককে আহত করেছে। এ ঘটনার চাইতে নির্দয় ও নিষ্ঠুর জুলুম আর কী হতে পারে! আরও বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো বর্তমান জালেম সরকার ঢাকায় তাঁর জানাযার অনুষ্ঠান তো দূরের কথা গায়েবানা জানাযা পর্যন্ত করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর গায়েবানা জানাযায় বাধা দেয়া হয়েছে। কয়েক শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় আয়োজিত গায়েবানা জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে গুলি করে ফোরকান উদ্দিন নামে এক মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে। যা গোটা দেশবাসীসহ সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”