৩১ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ১:০৮

সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ গত ৫ দিনে জামায়াতের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মন্ডলসহ গত ৫ দিনে জামায়াতের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৩১ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৪ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তিন দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আমরা লক্ষ্য করছি যে, সংবিধান স্বীকৃত জামায়াতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঠেকানোর লক্ষ্যে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে হানা দিয়ে গণগ্রেফতার চালিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মন্ডল ও সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি সোলাইমান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ জুলাই সোমবার দিনাজপুর সদর উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুল্লাহ বেলালী ও মাওলানা মোকছেদুল ইসলামসহ ৪ জন এবং ৩০ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় এবং ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৫ দিনে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। আমি সরকারের এই অন্যায় গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। সরকারের সকল অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়ে গত ২৮ ও ৩০ জুলাই জামায়াতের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে বর্তমান জালেম সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ও জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া মন্ডলসহ জামায়াতের সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে সরকারকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।