২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৩৩

নড়াইল সদর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম, সুজাত আলী এবং এএসআই মাগফুরের নেতৃত্বে জামায়াতের সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মোবারক হোসাইন

নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীর জনাব আতাউর রহমান বাচ্চু নড়াইল সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় নড়াইলবাসীকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন। গত ২৬ জুন সোমবার নড়াইল সদর থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম, সুজাত আলী এবং এএসআই মাগফুরের নেতৃত্বে সাঁটানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়। এই আপত্তিকর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন ২৭ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং পবিত্র ঈদুল আযহায় মুসলমানগণ পরস্পর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস পান। এরই প্রেক্ষিতে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দুই ঈদে পোস্টার লাগানো হয়। এটি ইসলামী কৃষ্টি-কালচারের অংশ। এর মাধ্যমে সমাজে সৌভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। জনমনে জিজ্ঞাস্য নড়াইলের পুলিশ প্রশাসন পোস্টার ছিড়ে সমাজকে কী বার্তা দিতে চায়? তারা কী সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা চায় না? কাজেই এই ঘটনা খুবই আপত্তিকর, অনাকাক্সিক্ষত এবং অনভিপ্রেত। আমি পুলিশ প্রশাসনের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রশাসন জনগণের খাদেম। জনগণের প্রত্যাশা তারা শপথের বাক্যগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন। তাদের প্রধান কাজ সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করা। সকল প্রকার অনৈতিক, অসামাজিক কাজ থেকে সমাজকে মুক্ত রাখা। সমাজের অপরাধ দমন করা। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, মদ-জুয়াসহ সকল অপরাধমূলক কাজ থেকে সমাজকে রক্ষা করা। কারো লেজুর বৃত্তি করা পুলিশ প্রশাসনের কাজ নয়। দুষ্টের দমন, শিষ্ঠের লালনই তাদের প্রধান কাজ। কিন্তু নড়াইলের পুলিশ প্রশাসন তা-না করে উল্টো কাজ করছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের সংসার চলে, তাদের জনগণের প্রতিপক্ষ হওয়া উচিত নয়।

আমি নড়াইলের পুলিশ প্রশাসনসহ সকল পুলিশ প্রশাসনকে পবিত্র শপথের আলোকে দায়িত্ব পালন করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”