২১ জুন ২০২৩, বুধবার, ৭:২৩

সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে মিথ্যা মামলায় চতুর্থ বারের মত আটক দেখানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে ২০২১ সালে দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলায় চতুর্থ বারের মত আটক দেখানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর ২১ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সরকার রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করে প্রথমে ৪ দিন ও পরে আরো ২ দিনের রিমান্ডে নেয়। তিনি ৮ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। সরকার তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ তাঁর জামিন বহাল রাখেন। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আরেকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি উচ্চ আদালত থেকে ফের জামিন লাভ করেন। সরকার পুনরায় তাঁর জামিন বাতিলের জন্য আপিল করলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি জেলখানা থেকে বের হওয়ার পূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ৩০ মে একটি মামলায় আবারো তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। উক্ত মামলায়ও তিনি এ বছরের ৩০ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত হন। এবারো সরকার পক্ষ আপিল করলে চেম্বার জজ তা খারিজ করে দেন। গত পবিত্র মাহে রমাদানে কারাগার থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে ১৬ এপ্রিল ২০২৩ পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ব মুহূর্তে আবারো তাঁকে একটি মিথ্যা মামলায় যুক্ত করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। ২৭ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানী শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৯ মে তিনি উচ্চ আদালত থেকে আবারো জামিনপ্রাপ্ত হন। গত ১৩ জুন তার জামিননামা দাখিল করা হয়। ঐ দিনই সরকার পক্ষ পল্টন থানার পুরনো একটি মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতারের আবেদন করে এবং আজ ২১ জুন ৮ দিন পর উক্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে পর পর চারবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হলো। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

দেশের প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের প্রতি সরকারের যদি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকত তাহলে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের মত একজন শিক্ষাবিদ এবং সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্যকে এভাবে হয়রানী করতে পারত না। তিনি সরকারের রাজনৈতিক যড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে বার বার জেলখানা থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে গ্রেফতার দেখানোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে আর কিছু নেই।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও হয়রানীমূলক কর্মকান্ড বন্ধ করে অবিলম্বে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে নি:শর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”