২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ৪:০৯

শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

সরকার কর্তৃক মদের লাইসেন্স দেয়ার প্রতিবাদে ২৩ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৪ ফেব্রুয়ারি নিম্নোক্ত বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার কর্তৃক মদের লাইসেন্স দেয়ার প্রতিবাদে ২৩ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত এই সব শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে সরকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। বাগেরহাটে মিছিল শেষে ফেরার পথে বাগেরহাট জেলার সেক্রেটারি শেখ ইউনুস আলী ও শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানকে এবং রংপুর মহানগরীর এক শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে জামায়াত নেতা জনাব জিল্লুর রহমান মুন্সি ও জনাব নাসির উদ্দিনকে ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য রনবীর রুবেলকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

অপরদিকে সরকার বিনা কারণে জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর শাখার সহকারী সেক্রেটারি জনাব মোঃ খোরশেদ আলমকে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে কাটিয়া মিলবাজারস্থ নিজের চাউলের মিল থেকে ও সাতক্ষীরা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মুহাম্মাদ জামশেদ আলমকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজ বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। আমরা সরকারের এই গ্রেফতারের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য জেল-জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র এবং সরকারি জুলুম-নির্যাতন বুকে ধারণ করে জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতের সকল তৎপরতা প্রকাশ্য ও নিয়মতান্ত্রিক। জামায়াত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। সরকার অন্যায়ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সরকারের একটি রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।

গ্রেফতার, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে কোনো আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যায় না। জামায়াতকেও দমন করা যাবে না ইনশাআল্লাহ। বরং সরকার তার অপকর্মের কারণে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। সরকার যদি শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ না করে, তাহলে তাদেরকে ইতিহাসের করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

জুলুম, নিপীড়ণ ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে অবিলম্বে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও রংপুর মহানগরীসহ সারাদেশে আটক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”