৬ নভেম্বর ২০২১, শনিবার, ৮:৫৯

ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ

ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

৬ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার কোনো কারণ ছাড়াই ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে। পূর্বে লিটার প্রতি দাম ছিল ৬৫ টাকা যা বর্তমানে ৮০ টাকা। অপরদিকে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ টাকা। প্রায় প্রতিমাসেই এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফাভাবে তেল ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যে তেল ও গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব সকল কিছুর মধ্যে পড়বে। প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী, সেচ, কৃষিপণ্য ও পরিবহন ভাড়াসহ সকল ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইতোমধ্যে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন বন্ধ থাকায় নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনিতেই মানুষ অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি জনগণের জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা সরকারে এই অযৌক্তিক ও অন্যায্য সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে চাকুরি হারিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে দেশের মানুষ অত্যন্ত অসহায় জীবন-যাপন করছে। খেটে খাওয়া মানুষের তিন বেলা ডাল-ভাত খেতেই অনেক কষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ‘দ্য পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার’ এবং ‘ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের’ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে ৩ কোটি ২৪ লাখ লোক নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত খুবই অযৌক্তিক এবং চরম জনস্বার্থ বিরোধী। 

ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট এবং সরকার দলীয় লোকজনের স্বার্থ হাসিলেই ব্যস্ত এ সরকার। আর সে কারণেই আবারো তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”