৮ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ৩:০০

চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান

লোকসানের অযুহাতে রাষ্ট্রায়ত্ব ৬টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল এবং শ্রমিকদের ন্যায্য পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৮ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“গত ১ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে অব্যাহত লোকসানের কারণে চলতি বছর ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন বন্ধ থাকবে এবং আগামী বছর আরো ৩টি চিনিকলে চিনি উৎপাদন বন্ধ করা হবে। এসকল চিনিকলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে থাকেন। চিনিকলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে তাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা। দেশে এমনিতেই করোনা পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকে চাকুরি ও ব্যবসা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে মিলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ করা হলে এসকল শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা আরো বহু গুণে বেড়ে যাবে।

আখ মাড়াই শুরু হওয়ার মৌসুমে ঠিক এই সময় চিনিকলগুলো বন্ধ করা হলে কৃষকগণ যেমন আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হবে, তেমনি তারা পরবর্তীতে আখ চাষ বন্ধ করে দিবে এবং দেশে চিনি উৎপাদন স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দেশে চিনি আমদানি করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা। চিনিকলগুলোর সাথে জড়িত শ্রমিক নেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চিনিকলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। প্রতিবেশি দেশ থেকে চিনি আমদানি করার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই সরকার এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আমরা মনে করি চিনিকলগুলোতে নিয়োজিত দলীয় পরিচালকদের দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে চিনিকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে চিনিকলগুলোকে লোকসানের হাত থেকে উদ্ধার করে লাভজনক করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তার এ উদ্যোগ অনেকাংশে সফল হয়েছিল।

চিনিকলগুলোতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারীর কথা বিবেচনা করে তাদের ন্যায্য পাঁচদফা দাবি মেনে নিয়ে চিনিকলগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে সেগুলো খুলে দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”