২৫ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:৩৪

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে বিবৃতি

মাদকের ভয়ানক আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসন ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন

২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২৫ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ ‘শুদ্ধ জ্ঞানেই সঠিক যত্ন হবে, জ্ঞানের আলোয় মাদক দূরে রবে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালিত হবে। এ দিনে বিশ্বব্যাপী মাদকবিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে মাদকের বিস্তৃতি আজ ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। দেশের তরুণ ও যুব সমাজ ব্যাপক হারে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের মরণ ছোবলে আক্রান্ত তরুণ ও যুব সমাজ ধ্বংসের গহ্বরে নিমজ্জিত।

বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য সামগ্রীর অধিকাংশই আসে সীমান্ত দিয়ে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অসংখ্য ফেনসিডিল ও মাদকের কারখানা তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা তৈরির অসংখ্য কারখানা রয়েছে। এসব স্থানে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণে ইয়াবা তৈরি হচ্ছে যার প্রধান মার্কেট হলো বাংলাদেশ। মিয়ানমারের তৈরি এ সকল ইয়াবা চোরাই পথে বাংলাদেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে। প্রায়ই কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বড় বড় ইয়াবার চালান আটক হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নজরদারি না করার কারণে মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে মাদক সেবনের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৮০ লাখ মানুষ এবং বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। মাদকের এ ভয়ানক আগ্রাসন থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসন ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

দেশের ভবিষ্যৎ তরুণ ও যুব সমাজ- যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০। অথচ এই সকল তরুণ ও যুবকেরাই আজ নানা ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। না বুঝেই অনেক তরুণ এ পথে পা দিয়ে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। একজন মাদকাসক্ত সন্তানের কারণে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত সন্তানকে নিয়ে পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে মাদক গ্রাম পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে।

মাদকের এই ভয়ানক ছোবল থেকে দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে। নিবিড় তত্ত্বাবধান, নৈতিক মূল্যবোধ তৈরী ও মটিভেশনাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণ ও যুব সমাজের মনে মাদকের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে। ইসলামী জীবন যাপনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা আরো বাড়াতে হবে। মাদকদ্রব্য আমদানি, উৎপাদন, মজুদ, বিপনন ও সেবন সকল পর্যায়েই সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”