২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৬:২১

বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট অচল অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

সারা দেশে বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট অচল অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ ২০ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাস-ট্রাক পরিবহন ধর্মঘটের ফলে দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

সরকার সড়ক যোগাযোগ পরিবহন ক্ষেত্রে বিরাজমান বিশৃঙ্খল অবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে প্রণীত নতুন আইন বাস্তবায়ন করার পুর্বে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলে আজকে এ সমস্যার সৃষ্টি হতো না। সমাজের সকল স্তরে সরকার যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে বর্তমান পরিবহন ধর্মঘট তার থেকে ব্যতিক্রম নয়।

বাস-ট্রাক পরিবহন ধর্মঘটের ফলে ইতোমধ্যেই কাঁচা শাক-সবজি, তরিতরকারী ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে যেমন সংকট তৈরি হয়েছে, তেমনি যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য সরকারের অদূরদর্শিতাই দায়ী। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার না হওয়ার কারণেই তারা জনগণের সমস্যা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং জনগণের সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সরকার সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলছে। জনগণের নির্বাচিত সরকার হলে এমন দুরবস্থা কখনোই সৃষ্টি হতো না।

জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে জরুরী ভিত্তিতে বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের অবসান ঘটিয়ে সড়ক পরিবহন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।”