১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০৭

নিহত বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের পরিবার প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা

কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার এস. এম তানভীর আরাফাত গত ৯ অক্টোবর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে বুয়েটের নিহত ছাত্র ‘আবরার ফাহাদের পরিবার জামায়াত-শিবির’ মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ১০ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের নিন্দা জানানোর আমাদের কোন ভাষা নেই।

যেখানে বাবা-মা প্রিয় সন্ত্রানকে হারিয়ে শোকে প্রায় পাগলপারা, যেখানে সারা দেশের মানুষ শোকাহত, সেখানে তিনি এ ধরনের হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে মূলত ফাহাদের বাবা-মার বুকভরা আর্তনাদকেই উপহাস করেছেন এবং ফাহাদের বিদেহী আত্মার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। এ যেন ‘মরার উপর খারার ঘা’।

দেশবাসীর প্রশ্ন আবরার ফাহাদের পরিবারকে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট পরিবার আখ্যা দিয়ে তিনি আসলে কী বোঝাতে চান? তিনি কী এ হত্যাকে বৈধ হিসেবে চালিয়ে দিতে চান? জামায়াত-শিবির হলেই কী কাউকে এভাবে হত্যা করা যায়? প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি কী এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করতে পারেন?

জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের বৈধ দুটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক সংগঠন। এ সংগঠন দুটি দেশের আইন-কানুন মেনেই তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠন পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। সুতরাং জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট হলেই তাদের হত্যা করা যায় না। দেশবাসী কাউকেই সেই লাইসেন্স দেয়নি।

গত ৯ অক্টোবর বিকেলে নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ফায়াজ ও তার ভাবীকেও পুলিশ পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।

তিনি হলেন প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা। দেশবাসী মনে করে, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি কিছুতেই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি যদি এ ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেই চান, তাহলে সরকারি চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেই তার ঐ ধরনের বক্তব্য দেয়া উচিত।”