৩০ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারো পক্ষে কাজ করেনি

-ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। তবে নির্বাচনের পূর্বেই জামায়াতে ইসলামী আগামী নভেম্বর মাসেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন আদেশের উপর একটি গণভোট চায়। গণভোটের মাধ্যমে পাশ করা আদেশের ভিত্তিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। 

তিনি আজ ৩০ অক্টোবর বেলা ৩.০০ টায় ঢাকাস্থ মগবাজার আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জনাকীর্ণ জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের আরও বলেন, কোন কোন মহল নির্বাচনের ব্যাপারে রিউমার ছড়াচ্ছে। মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি করছে। এ সব ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ৩১টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে বহু আলাপ-আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রায় ৮০টি বিষয় আমরা একমত হয়েছি। তারপরে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারো পক্ষে কাজ করেনি। সবাইকে নিয়েই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন একটি মহল তা বানচাল করার জন্য নানা ধরনের বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জাতীয় ঐক্য, গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বার্থেই সবাইকে সংযত হওয়া উচিত। কোনভাবেই জাতীয় ঐক্য ব্যাহত করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ ফিরে আসুক তা আমরা কিছুতেই চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। গণতন্ত্র ব্যাহত হতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

ডা. তাহের আরও বলেন, প্রত্যেক দল তার নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি তা চায় না। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন কোন বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। তিনি বলেন, দেশ আমাদের সবার, তাই আমাদের সবাইকে মিলেই এ দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।