১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৪১

গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশ বাঁচানোর সংগ্রামে মুক্তিকামী জনতাকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে

-মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “ইসলামের সুমহান দাওয়াত পথহারা মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে হবে এবং দেশ ও জাতিকে এক অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সরকার অবৈধভাবে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশ বাঁচানোর সংগ্রামে মুক্তিকামী জনতাকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। উত্তম চরিত্র, মানব সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে।”

১৭ এপ্রিল বুধবার গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরীর সেক্রেটারি মোঃ খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি মোঃ হোসেন আলীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সরকার অবৈধভাবে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশ বাঁচানোর সংগ্রামে মুক্তিকামী জনতাকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। উত্তম চরিত্র, মানব সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। আল্লাহ তা’য়ালার কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই। এজন্য ব্যাপক পড়াশুনা করতে হবে। আমাদের এখন বেশি দরকার আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন। এজন্য রাত জেগে বেশি বেশি নফল ইবাদত ও অধ্যায়নে মনোনিবেশ করতে হবে। পথহারা মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে দাওয়াতী কাজ বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বপর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “মহান আল্লাহর জমিনে তাঁর বিধান কায়েমের জন্য গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এলাকার প্রতিটি পাড়া মহল্লায়, অলিতে-গলিতে আপনাদের বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। সব সময় অসহায় দুস্থ আর্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দলমতের উর্ধ্বে উঠে মানব সেবা করতে হবে।

অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে বাংলাদেশের মান সন্মান ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। সরকার যেকোনোভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেজন্য সরকার সব কিছুতেই দলীয়করণ করছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতা কর্মীদরকে নিরাশ হওয়া চলবে না, হতাশ হওয়া চলবে না। সব সময় ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।”

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “দেশ এখন চরম ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের নিরীহ মানুষগুলো চরম দুঃখ দুর্দশায় দিনাতিপাত করছেন। এই সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী, সমর্থকদের দিকে চেয়ে আছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতাকর্মী, সমর্থক দানশীল, পরোপকারী এবং দেশ প্রেমিক। তাঁরা সবসময় অসহায় দুস্থ আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দাওয়াতী কাজের উপর গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। এই দাওয়াতী কাজে অনেকের মাঝে হীনমন্যতা কাজ করে। যা কোনো ভাবেই উচিৎ নয়। নিজের সমপর্যায়ে বা নিচের স্তরের লোকদের মাঝে দাওয়াত দিতে কোন হীনমন্যতা রাখা যাবে না এবং দাওয়াতি কাজের ফরজিয়াত এবং গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।”

অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, “জামায়াত কর্মী মানেই সমাজ কর্মী। জামায়াতের প্রত্যেক নেত- কর্মী সহযোগীকে অবশ্যই একজন সমাজ কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। মানুষের বিপদ আপদে পাশে থাকতে হবে।”