২০ মার্চ ২০২৪, বুধবার, ৬:৫৭

কক্সবাজার শহর জামায়াতের প্রীতি সমাবেশ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

গণতন্ত্রের খোলসে আজ স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের যাতাকলে জাতি পিষ্ট হয়ে পড়েছে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “মাহে রামাদান ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার মাস। কেননা নতুন মুসলিম শক্তি বদরের প্রান্তরে দ্বিগুনেরও বেশি শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে যে বিজয় সূচিত হয়েছিল সেই বিজয়ের ধারাবাহিকতায় ইসলামী তাহজীব তামাদ্দুন আজ পর্যন্ত আমাদের মাঝে সম্প্রসারিত হয়েছে। কিয়ামত অব্দি সম্প্রসারিত হতে থাকবে। পৃথিবীর কোন শক্তি ইসলামের এই আলোক রশ্মি নিভিয়ে দিতে পারবে না। ন্যায় ও ভ্রাতৃত্বের সৌধের উপর প্রতিষ্ঠিত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই আন্দোলনের জিম্মাদারী বাংলাদেশের ভূখণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ত্যাগের সর্বোচ্চ নাজরানা দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলছে। কোন ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার , জুলুম-নির্যাতন আমাদেরকে থামিয়ে দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”

১৯ মার্চ কক্সবাজার শহর জামায়াতের আয়োজনে সাবেক ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহর আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, শহীদুল আলম বাহাদুর, দরবেশ আলী মু. আরমান, সরওয়ার কামাল সিকদার, এডভোকেট কলিম উল্লাহ মামুন, ছাত্রনেতা আব্দুল মালেক, আব্দুল মজিদ, শফিউল আলম খন্দকার, এড. মামুনুর রশীদ, আখতার হোছাইন, হাছান মু. ইয়াছিন ও নেজাম উদ্দিন প্রমূখ।

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “জীবনের শুরুতে মুক্তির যে দিশা আমরা পেয়েছিলাম, আমৃত্যু সে পথকে আঁকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে নেই কোন অবসর, নেই কোন বিশ্রাম। অসহায় বনি আদম এখনো বঞ্চিত এবং মজলুম অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য এবং বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক দেশ এক জাতির ভিত্তিতে যেখানে আমাদের পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করার কথা ছিল, সেখানে বর্তমান শাসক মহল দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে একটি বিভক্তির রেখা টেনে দিয়েছে। যার ফলে ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমরা জাতিহিসেবে ততটুকু এগিয়ে যেতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, অর্থ ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রকৌশল ও জাতীয় সংহতি বর্তমান সরকার প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুবিচারের মূলনীতি জলাঞ্জলি দিয়ে এক ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্যে জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্রের খোলসে আজ স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের যাতাকলে জাতি পিষ্ট হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরকে পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় করে মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর ভিত্তিতে জীবন পরিচালনার মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে। মাহে রমাদান আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দিয়ে যাচ্ছে।

প্রীতি সমাবেশ নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রীতি সমাবেশ প্রাক্তনদের আবেগঘন ও প্রেরণাদায়ক স্মৃতিচারণ সকলের জন্য পাথেয় হিসেবে অমলিন থাকবে।”