১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৪১

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত

জামায়াতে ইসলামী মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন,“জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও মানুষের কল্যাণে কাজ করা অব্যাহত রাখবে। জামায়াতে ইসলামীকে ষড়যন্ত্র করে যতই দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করা হোকনা কেন, জামায়াত আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

১৮ মার্চ সোমবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জেলা মজলিসে শুরার সাধারণ অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহাম্মদ জাকারিয়া, ড. ছাবের আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমূখ।

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য হচ্ছে শুরা বা পরামর্শ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ। মজলিসে শুরার ভাইয়েরা হচ্ছেন সংগঠনের মূল নিয়ন্ত্রন শক্তি। একটি দ্বীনি সংগঠন হিসেবে সংগঠনের সকল জনশক্তির মান সংরক্ষণ করে সঠিক পথে পরিচালিত করা শুরা সদস্যদের অন্যতম দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্যগণ সংগঠন পরিচালনায় নিজেদের ও অধ্বস্তনদের মতামত তুলে ধরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। অতীতের ন্যায় মতামত ও পরামর্শ প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিন মুসলিম উম্মাহর প্রেরণার অন্যতম বাতিঘর যুগে যুগে মুসলমানরা নিজ মাতৃভূমি ফিলিস্তিনে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মানবতাকে রক্ষায় মানবাধিকারের পক্ষের শক্তিকে একযোগে সোচ্চার হতে হবে।

সাম্রাজ্যবাদী ইহুদী গোষ্ঠী স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি জনগণের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন নারী পুরুষ শিশুসহ অসংখ্য বনী আদম জীবন দিচ্ছে। সেসব অসহায় ফিলিস্তিনি মজলুম মানবতার পাশে দাঁড়ানো মুসলিম উম্মাহর নৈতিক অধিকার। আমরা বাংলাদেশের মুসলমানদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনে মানবতা বিরোধী ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার আহবান জানাচ্ছি।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, “মজলিশে শুরা ইসলামী সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুসংগ। সংঠনের সৌন্দর্য রক্ষাও সঠিক পথে পরিচালিত করতে মজলিসে শুরার সদস্যদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। গতিশীল নেতৃত্বের সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে একদল যোগ্য কর্মী বাহিনী তৈরী হলে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, “শহীদি জনপদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার প্রতিটি উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের কাজকে আরও মজবুত ও বেগবান করার জন্য জেলা শুরার সদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। দাওয়াতি কাজ, সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন এবং জনকল্যাণমুখী কাজ করার মাধ্যমে সংগঠনের কাংখিত মান অর্জন করতে হবে।”